বাংলাদেশ, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, দুবাই ও ইংল্যান্ডের এয়ারলাইনস কোম্পানি। বিমান টিকিট বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একমাত্র ভরসা আকাশপথ। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশেই নিজস্ব এয়ারলাইনস সংস্থা রয়েছে। প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা অসুবিধা থাকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের ক্ষেত্রে বিমান কোম্পানি গুলোর সকল ধরনের তথ্য ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা জরুরি।

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন বাংলাদেশ, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, দুবাই ও ইংল্যান্ডের সবগুলো বিমান কোম্পানি সম্পর্কে। এখানে প্রতিটি কোম্পানির সেবার মান, বিমানের ধরন, বিমানের আসন সংখ্যা, চলাচলকারী রুট ও সম্ভাব্য ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি দেশের এয়ারলাইনস কোম্পানি সম্পর্কে জেনে নিন।

বাংলাদেশের এয়ারলাইনস কোম্পানি

বাংলাদেশের নিয়মিত পরিবহন, ভাড়ায় চালিত পরিবহন ও পণ্য পরিবহন এই সবগুলো ক্যাটাগরি মিলিয়ে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি এয়ারলাইনস কোম্পানির যাবতীয় তথ্য ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো।

১. Air Astra

বাংলাদেশে সদ্য চালু হওয়া বেসরকারি এয়ারলাইনস কোম্পানি হলো Air Astra। কোম্পানিটি ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর তারিখে তাদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঢাকার উত্তরার সিয়াম টাওয়ারে এই কোম্পানির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। Air Astra বাংলাদেশের আঞ্চলিক রুট গুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে Air Astra কোম্পানির বহরে ‘এটিয়ার ৭২-৬০০’ নামক তিনটি এয়ারক্রাফট নিয়মিত রয়েছে। প্রতিটি এয়ারক্রাফটই যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এবং উপযুক্ত। প্রতিটি এয়ারক্রাফটে ৭২ টি আসনসংখ্যা রয়েছে।
যেসকল জেলা রুটে চলাচল করে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, সিলেট।
রুট অনুযায়ী এই কোম্পনির বিমান ভাড়া বিভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণত আনুমানিক ৩০০০ থেকে ৯০০০ টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে।

goofly24.com air ticket booking

২. Biman Bangladesh Airlines

বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক মানের এয়ারলাইনস কোম্পানি হলো Biman Bangladesh Airlines। কোম্পনিটি ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান সুনামের সাথে টিকিয়ে রেখেছে। যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি এই কোম্পানি কর্গো সার্ভিসও প্রদান করে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি দেশে কোম্পানিটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাছাড়া বাংলাদেশের আঞ্চলিক রুটেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর ফ্লাইট রয়েছে। এই কোম্পানির বিমানে সাধারণত বিজনেস ক্লাস ও ইকোনমি ক্লাস এই দুই ক্লাসে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর বহরে সর্বমোট ২১ টি বিমান রয়েছে। নিচে এর তালিকা ও আসন সংখ্যা তুলে ধরা হলো।

  • ‘বোয়িং ৭৩৭-৮০০’ এর ৬ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে যার মোট আসন সংখ্যা ১৬২
  • ‘বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর’ এর ৪ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে যার মোট আসন সংখ্যা ৪১৯
  • ‘বোয়িং ৭৮৭-৮’ এর ৪ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে যার মোট আসন সংখ্যা ২৭১
  • ‘বোয়িং ৭৮৭-৯’ এর বহরে ২ টি বহর চলমান রয়েছে যার মোট আসন সংখ্যা ২৯৮
  • ‘বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০’ এর ৫ টি বহর চলমান রয়েছে যার মোট আসন সংখ্যা ৭৪.

সুযোগ সুবিধা ও গন্তব্য স্থান অনুযায়ী প্লেনের টিকেট মূল্য হাজার থেকে লক্ষের ঘরে যেতে পারে।

৩. Novoair

সাধারণত দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য জনপ্রিয় একটি এয়ারলাইনস কোম্পানি Novoair। কোম্পানিটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি। নভোএয়ার কোম্পানির প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত। তাদের প্রতিটি বিমানই যাত্রী বাহনের দায়িত্বে নিয়োজিত।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল জেলাসহ ভারতের কলকাতায় এই কোম্পানি নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। এর প্রধান হাব ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যে সকল অঞ্চলে যাতায়াত করে তা হলো- কলকাতা, সিলেট, সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল।

নভোএয়ার কোম্পানির বহরে ‘ATR 72-500’ এর সাতটি বিমান রয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে একটি অকার্যকর। প্রতিটি বহরে আসন সংখ্যা ৬৮ টি।
নভোএয়ারে ভাড়া তুলনামূলক কিছুটা কম বলা চলে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ভাড়া ৩০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা বা এর থেকে সামান্য কম বেশি হতে পারে।

৪. US-Bangla Airlines

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের যাতায়াতে সবথেকে জনপ্রিয় এবং উপযুক্ত এয়ারলাইনস কোম্পানি US-Bangla Airlines। কোম্পানিটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সালের ১৭ ই জুলাই থেকে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আঞ্চলিক রুটে সমানতালে এই কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
আন্তর্জাতিক ভাবে সংযুক্ত দেশগুলো হলো: ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, কাতার, ওমান, নেপাল, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, চীন এবং ভারত।
ভারতের তিনটি প্রদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। যতা: কলকাতা, চেন্নাই এবং দিল্লী।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংযুক্ত অঞ্চলগুলো হলো: ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কক্সবাজার, যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর এবং সিলেট।

US-Bangla Airlines এর অন্তর্ভুক্ত ২০ টি বিমান তালিকা ও আসন সংখ্যা

  • ‘ATR 72-600’ এর ৯ টি বহর রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৭২।
  • ‘Boeing 737-800’ এর 8 টি বহর রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৯।
  • ‘De Havilland Dash 8-400’ এর ৩ টি বহর রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৭৮।

অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক রুটে ভাড়ায় অনেক তারতম্য রয়েছে। তবে মোটামুটি ধারনা করলে বলা যায় গন্তব্য ভেদে US-Bangla Airlines এ ভাড়া ২৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তার কম বেশি হতে পারে।

কাতারের এয়ারলাইনস কোম্পানি

কাতারে সরকারি বেসরকারি বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় দুইটি কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

১. Qatar Airways

কাতারের সরকারের মালিকানায় পরিচালিত একটি জনপ্রিয় এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান হলো Qatar Airways। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালের ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৪ সালের ২০ জানুয়ারি কার্যক্রম শুরু করে। এর সদরদপ্তর কাতারের রাজধানী দোহার এয়ারওয়েজ টাওয়ারস- এ অবস্থিত।

আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া সহ বিশ্বের ১৯৮ টি বিমানবন্দরে এই প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করে। যাত্রীবাহী ও কর্গো দুই ধরনের সার্ভিস নিয়ে Qatar Airways এর ২৫৬ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে।
চলমান বহরের তালিকা ও আসনসংখ্যা তুলে ধরা হলো-

  • ক. ‘Airbus A320-200’ এর ২৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ১৩২ থেকে ১৪৪ টি।
  • খ. Airbus A330-200 এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ২৬০ টি।
  • গ. ‘Airbus A330-300’ এর ৮ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ৩০৫ টি।
  • ঘ. ‘Airbus A350-900’ এর ৩৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ২৮৩ টি।
  • ঙ. ‘Airbus A350-1000’ এর ২৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ৩২৭ থেকে ৩৯৫ টি।
  • চ. ‘Airbus A380-800’ এর ১০ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ৫১৭ টি।
  • ছ. ‘Boeing 737 MAX 8’ এর ৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ১৭৬ টি।
  • জ. ‘Boeing 777-200LR’ এর ৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ১৭২ থেকে ১৭৬ টি।
  • ঝ. ‘Boeing 777-300ER’ এর ৫৭ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ২৯৬ থেকে ৪১২ টি।
  • ঞ. ‘Boeing 787-8’ এর ৩০ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ২৫৪ টি।
  • চ. ‘Boeing 787-9’ এর ১৫ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসনসংখ্যা ৩১১ টি।
  • ছ. ‘Boeing 777F’ এর ২৬ টি বহর রয়েছে এবং প্রতিটিই কর্গো বিমান।
  • জ. ‘Boeing 747-8F’ এর ২ টি বহর রয়েছে এবং এটিও কর্গো বিমান।

বাংলাদেশ থেকে Qatar Airways এর বিমান ভাড়া সাধারণত এক লক্ষ থেকে শুরু করে আরও বাড়তি হয়ে থাকে।

২. Qatar Amiri Flight

কাতারের একটি ভিআইপি এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান Qatar Amiri Flight যা পুরোপুরি সরকারি মালিকানার আওতাধীন। কাতারের রাজপরিবার এবং অন্যান্য ভিআইপি সরকারি কর্মীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য এই প্রতিষ্ঠান সেবা প্রদান করে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্বের যে কোনো বিমানবন্দরে এই কোম্পানির বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এর সদর দপ্তর কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত। এয়ারলাইনস কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
Qatar Amiri Flight এর চলমান ১৪ টি বিমানের তালিকা নিন্মলিখিত-

  • ক. Airbus A319-100/ACJ এর ৩ টি।
  • খ. Airbus A320-200 এর ১ টি।
  • গ. Airbus A320-200/ACJ এর ২ টি।
  • ঘ. Airbus A330-200 এর ২ টি।
  • ঙ. Airbus A340-200 এর ১ টি।
  • চ. Airbus A340-300 এর ১ টি।
  • ছ. Airbus A340-500 এর ১ টি।
  • জ. Boeing 747-8/BBJ এর ৩ টি।

বি. দ্র: এই প্রতিষ্ঠানের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় শুধুমাত্র রাজ পরিবার ও সরকারি ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াতে তাই এর ভাড়া ও আসন সংখ্যা সুনির্দিষ্ট নয়।

ওমানের এয়ারলাইনস কোম্পানি

simbolic image

ওমানে নিয়মিত চলমান ও সরকারি সেবায় নিয়োজিত তিনটি এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও এর অন্তর্ভুক্ত বিমান বহর, আসনসংখ্যা ও বিমানের ধরন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১. Oman Air

ওমানে সবথেকে বৃহৎ পরিসরে ফ্লাইট কার্যক্রম পরিচালনা করে Oman Air। দেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন দেশে এই প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করে। কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর সদরদপ্তর ওমানের মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রুট মিলিয়ে ৪৫ টি গন্তব্যে এই কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করে। যাত্রীবাহী ও কর্গো বিমান সহ সব মিলিয়ে এই কোম্পানির ৪৫ টি বহর চলমান রয়েছে।
Oman Air এর অন্তর্ভুক্ত বিমানের তালিকা –

  • ক. ‘Airbus A330-200’ এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২২৬ টি।
  • খ. ‘Airbus A330-300’ এর ৬ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৩০ থেকে ২৮৯ টি।
  • গ. ‘Boeing 737-800’ এর ৮ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৫৬ থেকে ১৬২ টি।
  • ঘ. ‘Boeing 737-900ER’ এর ৫ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৩ টি।
  • ঙ. ‘Boeing 737 MAX 8’ এর ১৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৬২ টি।
  • চ. ‘Boeing 787-8’ এর ২ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৬৪ টি।
  • ছ. ‘Boeing 787-9’ এর ৭ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৬৮ থেকে ২৮৮ টি।
  • জ. ‘Boeing 737-800BCF’ এর ১ টি বহর চলমান রয়েছে এবং এটি একটি কর্গো বিমান।

গন্তব্য ও সুযোগ সুবিধা অসুবিধা Oman Air এর এভারেজ ভাড়া বিশ হাজার টাকা করে এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।

২. SalamAir

ওমানে একটি জনপ্রিয় ও তুলনামূলক সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস কোম্পানি SalamAir। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এর কার্যক্রম শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠানের বহরে যাত্রীবাহী ও কর্গো দুই ধরনের বিমান রয়েছে। এর সদরদপ্তর মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত । দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইট পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠান। সংযুক্ত দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, চেক প্রজাতন্ত্র, আজারবাইজান, জর্জিয়া, জার্মানি, ভারত, ইরাক, ইরান, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, সুদান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
যাত্রীবাহী ও কর্গো বিমান মিলিয়ে এই কোম্পানির আওতাধীন বর্তমানে ১১ টি বহর চলমান রয়েছে।

  • ক. ‘Airbus A320neo’ এর ৬ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮০ টি।
  • খ. ‘Airbus A321neo’ এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২১২ টি।
  • গ. ‘Airbus A321-200P2F’ এর ১ টি বহর রয়েছে এবং এটি একটি কর্গো বিমান।

সুযোগ সুবিধা ও গন্তব্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভাড়া ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে হতে পারে।

সৌদি আরবের এয়ারলাইনস

সরকারি, বেসরকারি ও কর্গো কোম্পানি মিলিয়ে সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় এয়ারলাইনস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোম্পানির তালিকা দেয়া হলো।

১. Flyadeal

সৌদি আরবের অন্যতম সাশ্রয়ী ও জনপ্রিয় এয়ারলাইনস কোম্পানি হলো Flyadeal। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম শুরু করে। এর সদরদপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ সকল ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযুক্ত দেশগুলো হলো: আজারবাইজান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস, মিশর, জর্জিয়া, গ্রীস, ভারত, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, মন্টিনিগ্রো, সুদান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত বর্তমানে চলমান ৩০ টি যাত্রীবাহী প্লেন রয়েছে।

  • ক. ‘Airbus A320-200’ এর ১১ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৬ টি।
  • খ. ‘Airbus A320neo’ এর ১৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৬ টি।

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ভেদে ভাড়া তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা বা তার কম বেশি হতে পারে।

২. Flynas

সৌদি আরবের বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত একটি সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান Flynas। এর সদরদপ্তর সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ঐ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কার্যক্রম শুরু করে। অভ্যন্তীরন গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্য , এশিয়া , ইউরোপ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত যাত্রীবাহী ৬০ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে।

  • ক. ‘Airbus A320-200’ এর ১৩ টি বহর চলমান রয়েছে।
  • খ. ‘Airbus A320neo’ এর ৪৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৭৪ টি।
  • গ. ‘Airbus A330-300’ এর ৪ টি বহরের আসন সংখ্যা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

সুযোগ সুবিধা ও গন্তব্য অনুযায়ী ভাড়া ছয় হাজার টাকা থেকে আশি হাজার টাকা বা তার কম বেশি হতে পারে।

৩. Saudia

সৌদি আরবের পতাকাবাহী একটি জনপ্রিয় এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান Saudia। সারা বছরই সমানতালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই কোম্পানি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তবে রমজান ও হজ্জের মৌসুমে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সবথেকে বেশি পরিচালিত হয়। ১৯৪৫ সালে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং সেই থেকে এখনও পর্যন্ত চলমান রয়েছে। সৌদি আরবের জেদ্দায় এর সদরদপ্তর অবস্থিত। দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি সারা বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি গন্তব্যে এই প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত যাত্রীবাহী ও কর্গো সব মিলিয়ে ১৫৩ টি বহর চলমান রয়েছে। নিচে এর তালিকা তুলে ধরা হলো।

  • ক. ‘Airbus A320-200’ এর ৩৭ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১১০ থেকে ১৪৪ টি।
  • খ. ‘Airbus A321-200’ এর ১৫ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৬৫ টি।
  • গ. ‘Airbus A321neo’ এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৮ টি।
  • ঘ. ‘Airbus A330-300’ এর ৩৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৮৮ থেকে ৩৩০ টি।
  • ঙ. ‘Boeing 747-400’ এর ৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৪৬৩ টি।
  • চ. ‘Boeing 777-300ER’ এর ৩৫ টি বহর রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৯০ থেকে ৪১৩ টি।
  • ছ. ‘Boeing 787-9’ এর ১৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৯৮ টি।
  • জ. ‘Boeing 787-10’ এর ৭ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৩৫৭ টি।
  • ঝ. ‘Boeing 747-400BDSF’ এর ২ টি বহর চলমান রয়েছে এবং এটি কর্গো বিমান।
  • ঞ. ‘Boeing 777F’ এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে এবং এটি কর্গো বিমান।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া চল্লিশ হাজার টাকা থেকে দুই লক্ষ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।

৪. Nesma Airlines

Nesma Airlines একটি মিশরীয় বিমান সংস্থা। এটি মূলত সৌদি আরবের নেসমা গ্রুপের সদস্য। এই এয়ারলাইনস কোম্পানি মূলত সৌদি আরব ও মিশরের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাছাড়া সৌদি আরব ও মিশরের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও পরিচালনা করে। কোম্পানিটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এখন পর্যন্ত তাদের সার্ভিস চলমান রয়েছে। এর প্রধান কার্যালয় মিশরের কায়রোতে অবস্থিত।
এই প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত ২ টি বহর বর্তমানে চলমান রয়েছে।
ক. Airbus A320-200 এর ২ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮০ টি।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ভেদে ভাড়া তিন হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বা তার বেশি হতে পারে।

দুবাই এয়ারলাইনস

দুবাই এর সরকারি ও বেসরকারি মালিকানায় বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি এয়ারলাইনস সংস্থা সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

১. Flydubai

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি মালিকানাধীন একটি এয়ারলাইনস কোম্পানি Flydubai যার প্রধান হাব দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত। কোম্পানিটি ২০০৮ সালের ১৯ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০০৯ সালের ১ জুন। এর সদরদপ্তর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ১১০ টিরও বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
Flydubai এর বহরে বর্তমানে মোট ৮০ টি বিমান চলমান রয়েছে। নিচে এর তালিকা ও আসনসংখ্যা দেয়া হলো।

  • ক. ‘Boeing 737-800’ এর ৩০ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৭৪ থেকে ১৮৯ টি।
  • খ. ‘Boeing 737 MAX 8’ এর ৪৭ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৬৬ থেকে ১৭৪ টি।
  • গ. ‘Boeing 737 MAX 9’ এর ৩ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৭২ টি।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ভাড়া আনুমানিক চল্লিশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা বা সামান্য কম বেশি হতে পারে।

ইংল্যান্ড এর এয়ারলাইনস

ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সরকারি ও বেসরকারী এয়ারলাইনস এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো।

১. BA CityFlyer

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিকানাধীন একটি সহায়ক এয়ারলাইনস সংস্থা BA CityFlyer। এর সদরদপ্তর ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত। সংস্থাটি ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
আন্তর্জাতিক ভাবে সংযুক্ত দেশগুলো হলো- সুইজারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, জার্সি, ইতালি, আইল অফ ম্যান, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, গ্রীস, গার্নসি, জিব্রাল্টার, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, চেক প্রজাতন্ত্র, ক্রোয়েশিয়া এবং অস্ট্রিয়া।

প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন বর্তমানে চলমান ২০ টি বিমান বহর রয়েছে। দেখে নিন এদের তালিকা ও আসনসংখ্যা।
ক. ‘Embraer 190’ এর মেট ২০ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৯৮ টি।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্য ভেদে এবং সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া আনুমানিক বিশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা বা তার থেকে সামান্য কমবেশি হতে পারে।

২. BA EuroFlyer

ইংল্যান্ডে সদ্য চালু হওয়া একটি জনপ্রিয় ব্রিটিশ এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান BA EuroFlyer। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ২০২২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। এর সদরদপ্তর ইংল্যান্ডের লন্ডনে অবস্থিত।
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস কোম্পানি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযুক্ত দেশগুলো হলো- তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, মরক্কো, মাল্টা, জার্সি, ইতালি, গ্রীস, ফ্রান্স, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া এবং অস্ট্রিয়া।

BA EuroFlyer এর বহরে বর্তমানে ১৮ টি চলমান বিমান রয়েছে। এর তালিকা ও আসনসংখ্যা দেখে নিন।
ক. ‘Airbus A320-200’ এর ৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৭৭ টি।
খ. ‘Airbus A321-200’ এর ৯ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২১৮ টি।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ভেদে সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা বা সামান্য কমবেশি হতে পারে।

৩. Eastern Airways

ইংল্যান্ডের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠান Eastern Airways। এর প্রধান কার্যালয় ইংল্যান্ডের উত্তর লিংকনশায়ারের কির্মিংটনে অবস্থিত। কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানটি ১১ টিরও বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বর্তমানে এই কোম্পানির বহরে মোট ১৪ টি বিমান রয়েছে। নিচে এর তালিকা ও আসনসংখ্যা তুলে ধরা হলো।

  • ক. ‘ATR 72-600’ এর ৪ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৭২ টি।
  • খ. ‘BAe Jetstream 41’ এর ৬ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৯ টি।
  • গ. ‘Embraer 170’ এর ২ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ৭৬ টি।
  • ঘ. ‘Embraer 190’ এর ২ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১০৬ টি।

গন্তব্য ও সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া দশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা বা তার কম বেশি হতে পারে।

৪. EasyJet

ইংল্যান্ডের একটি সাশ্রয়ী এয়ারলাইনস হিসেবে জনপ্রিয় কোম্পানি হলো EasyJet। এর সদরদপ্তর ইংল্যান্ডের লন্ডন লুটন বিমানবন্দরে অবস্থিত। কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইট পরিচালনায় এই কোম্পনির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংযুক্ত অঞ্চলগুলো হলো- ভেনিস, বার্মিংহাম, লিসবন, বেলফাস্ট-আন্তর্জাতিক, প্যারিস, নেপলস, এডিনবার্গ, আমস্টারডাম, ফ্রেইবার্গ, বার্লিন, জেনেভা ইত্যাদি।
এই কোম্পানির অর্ন্তভুক্ত বহরে বর্তমানে মোট ৩৩৩ টি বিমান চলমান রয়েছে। এর তালিকা ও আসনসংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন।

  • ক. ‘Airbus A319-100’ এর ৯৫ টি বহর রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৫৬ টি।
  • খ. ‘Airbus A320-200’ এর ১৭১ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৬ টি।
  • গ. ‘Airbus A320neo’ এর ৫২ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ১৮৬ টি।
  • ঘ. ‘Airbus A321neo’ এর ১৫ টি বহর চলমান রয়েছে যার আসন সংখ্যা ২৩৫ টি।

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ভেদে এবং সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ভাড়া চার হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকার বেশি হতে পারে।

এই ছিলো বাংলাদেশ, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, দুবাই ও ইংল্যান্ডের এয়ারলাইনস কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য। আশাকরি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের ক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেলটি সহায়ক হবে। আপনার যাত্রা সুন্দর ও সহজ হোক এই কামনা রইল। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Scroll to Top