বঙ্গোপসাগরের আয়তন, গভীরতা, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর যাকে ইংরেজিতে বলা হয় বে অফ বেঙ্গল। এটি মূলত ভারত মহাসাগরের একটি উপসাগর। পৃথিবীর সবথেকে বড় উপসাগর হিসেবে বঙ্গোপসাগর পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। অবস্থানগত দিক থেকে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লোনা পানির জলাধার।

বাংলাদেশের জলবায়ু, অর্থনীতি, পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সম্পদ সব দিক থেকেই এই উপসাগরটি সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এর কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।

মোটামুটি ত্রিভুজ আকৃতির এই উপসাগরটি সম্পর্কে সকল তথ্য একত্রিত করে লেখাটি সাজানো হয়েছে। আজকের লেখাটির মাধ্যমে জানতে পারবেন বঙ্গোপসাগরের ভৌগোলিক অবস্থান, আকার ও আয়তন, জীববৈচিত্র্য, দ্বীপ সমূহ ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সহ সকল বিস্তারিত তথ্য।

বঙ্গোপসাগরের ভৌগোলিক অবস্থান

ভারত মহাসাগরের উত্তর প্রান্তে পৃথিবীর সবথেকে বড় উপসাগর ‘বঙ্গোপসাগর’ এর অবস্থান। এটিকে ভারত মহাসাগরের বাহু হিসেবে ধরা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বঙ্গোপসাগর উত্তরে ৫°, দক্ষিণে ২২°, পূর্বে ৮০° এবং পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ১০০° বর্ধিত।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড বঙ্গোপসাগরের চারপাশে পরিবেষ্টিত হয়ে আছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থান করছে। অন্যদিকে পূর্বে রয়েছে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ ও ভারতের একাংশের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে। ভারতের সীমারেখার অন্তর্ভুক্ত বিখ্যাত আন্দামান দ্বীপ ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বঙ্গোপসাগরের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করছে।

বঙ্গোপসাগরের আয়তন

আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর সবথেকে বড় উপসাগর। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে এর সঠিক দৈর্ঘ্য নির্বাচন করা সহজ বিষয় নয়। কেননা কোথাও দৈর্ঘ্যের পরিমাপ বেশি আবার কোথাও খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে দৈর্ঘ্যের সর্বোচ্চ পরিমাপ ২,০৯০ কিলোমিটার বা ১,৩০০ মাইল। প্রস্থের পরিমাপেও এমন বৈচিত্র্যতা লক্ষ করা যায়। প্রস্থের সর্বোচ্চ মান ১,৬১০ কিলোমিটার বা ১,০০০ মাইল।

বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগের মোট আয়তন ২১,৭২,০০০ বর্গ কিলোমিটার বা ৮,৩৯,০০০ বর্গ মাইল। গভীরতার দিক থেকেও হিসেবে ব্যাপক বৈচিত্র্যতা রয়েছে। কেননা কোথাও গভীরতা একদমই কম আবার কোথাও গভীরতা কল্পনাতীত। তবে বঙ্গোপসাগরের নিম্নভাগের সর্বশেষ বিন্দু ৪,৬৯৪ মিটার বা ১৫,৪০০ ফুট গভীরে অবস্থিত। তবে গভীরতার গড় হিসেব করলে দাঁড়ায় ২,৬০০ মিটার বা ৮,৫০০ ফুট।

বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সমূহ

বঙ্গোপসাগরে ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো দ্বীপ রয়েছে। কোনো কোনো দ্বীপ একাই স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে আবার কোথাও ছোট বড় দ্বীপপুঞ্জ একত্রিত হয়ে গুচ্ছ বদ্ধ হয়ে আছে। তবে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, নিকোবর এবং মার্গুই দ্বীপপুঞ্জ উল্লেখ্যযোগ্য। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫৭২ টি দ্বীপ রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৩৭ টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে।

মূল ভূখন্ড থেকে দূরবর্তী বঙ্গোপসাগরের দ্বীপগুলোর মধ্যে এই আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ সবথেকে বেশি প্রাণচঞ্চল। তাইতো সব দ্বীপের মধ্যে এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসকল দ্বীপ আন্তর্জাতিক ভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী। বাংলাদেশের দিক থেকে সেন্টমার্টিন ও ছেড়া দ্বীপপুঞ্জ খুব জনপ্রিয়। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব দিকে ‘চিদুবা দ্বীপপুঞ্জ’ মিয়ানমার উপকূল ঘেসে বিদ্যমান। এই দ্বীপগুলো আগ্নেয়গিরির জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। কর্দমাক্ত এই আগ্নেয়গিরি গুলোকে প্রায়ই সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটন কেন্দ্র ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। বঙ্গোপসাগরের পরিচিত কয়েকটি দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জের নাম উল্লেখ করা হলো। যথা: হেনরি দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ, সাগর দ্বীপ, শ্রীহরিকোটা, সন্দ্বীপ, লোহাচরা দ্বীপ, মরিচঝাঁপি, ব্যারেন দ্বীপ, ভোলা দ্বীপ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ, নারকোণ্ডম দ্বীপ, ত্রিঙ্কেট দ্বীপ, জম্বু দ্বীপ, ঘোড়ামারা দ্বীপ, পূর্বাশা দ্বীপ, ধনুষ্কোড়ি, নিঝুম দ্বীপ, পামবন দ্বীপ সহ আরও জানা অজানা অনেক দ্বীপ।

বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র সৈকত সমূহ

বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে অনেক ছোট বড় সমুদ্র সৈকত রয়েছে। যেখানে পর্যটকেরা সমুদ্রের মন ভোলানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীড় জমায়। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় অনেক সমুদ্র সৈকতের সন্ধান এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।

তবে এখনও নতুন নতুন অনেক সৈকতের সন্ধান চলছে ও আবিষ্কারও হচ্ছে। এ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের যে কয়টি সমুদ্র সৈকতের সন্ধান মিলেছে তার সিংহভাগই বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত। ভারতেও অনেকগুলো জনপ্রিয় সৈকত রয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায়ও একটি করে সমুদ্র সৈকত রয়েছে যা বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র সৈকত গুলো হলো: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, নিঝুম দ্বীপের বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সমুদ্র সৈকত, ইনানী সৈকত, সোনাদিয়া সমুদ্র সৈকত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের স্বচ্ছ পানির সৈকত। উল্লেখ যে, বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর সবথেকে দীর্ঘ প্রকৃতিক সমুদ্র সৈকত।

ভারতের অন্তর্ভুক্ত সমুদ্র সৈকত গুলো হলো : বকখালি সৈকত, মন্দারমণি সৈকত, দীঘা, চাঁদিপুর সৈকত, পুরী, বিশাখাপত্তনম সৈকত ও মেরিনা সৈকত।
মিয়ানমারের কোল ঘেঁষে অবস্থিত গাপালি সমুদ্র সৈকত এবং শ্রীলঙ্কায় রয়েছে অরুগ্রাম সমুদ্র সৈকত।

সমুদ্র বন্দর সমূহ

বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের বানিজ্যিক যোগাযোগে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই তিনটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক সমুদ্র বন্দর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। নৌ যোগাযোগ ও বানিজ্যিক পরিবহনে এই বন্দরগুলোর বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সমুদ্র বন্দর বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত। সমুদ্র বন্দরগুলো হলো: চট্টগ্রাম বন্দর,পায়রা বন্দর ও মংলা বন্দর। বানিজ্যিক যোগাযোগে এই তিনটি বন্দরই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের বেশ কয়েকটি সমুদ্র বন্দর বিশ্বের বৃহত্তম এই উপসাগরে অবস্থিত।

এক্ষেত্রেও প্রতিটি সমুদ্র বন্দর সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভারতের উল্লেখযোগ্য সমুদ্র বন্দরগুলো হলো: কাকিনাদা বন্দর, চেন্নাই বন্দর, বিশাখাপত্মম বন্দর, কলকাতা বন্দর, তৃণকমলি বন্দর, পন্ডিচেরী বন্দর এবং পারাদিপ বন্দর।

মিয়ানমারের উল্লেখযোগ্য ও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ‘ইয়াংগুন বন্দর’ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। এটি মিয়ানমারের প্রাচীন রাজধানী এবং তার পাশাপাশি সর্ববৃহৎ নগরী হিসেবে খ্যাত।

বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য

পৃথিবীর অন্যতম জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ উপসাগর হলো এই বঙ্গোপসাগর। পৃথিবীর ৬৪ টি জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যে ভরপুর এলাকার মধ্যে একটি অন্যতম জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে বঙ্গোপসাগরকে বিবেচনা করা হয়। এখানে আছে এক দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির সাপ যার নাম ‘জারদোনি’। আরও আছে বিখ্যাত প্রজাতির তিমি।

বঙ্গোপসাগরের কোলে বসবাসরত ‘ব্রাইডস হোয়েল’ নামক তিমি ওজনের দিক থেকে পৃথিবীতে দশম স্থান অধিকার করে আছে। আরও আছে টিউনা, কুঁজঅলা ডলফিন, অসংখ্য জানা অজানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শৈবাল সহ হাজারো জীববৈচিত্র্য।

বানিজ্য ভাবে লাভজনক মাছের ভেতরে এই পর্যন্ত ৭৬ প্রজাতির মাছ ও ৫০ প্রজাতির চিংড়ি জাতীয় সামুদ্রিক জীব সনাক্ত করা হয়েছে। আরও আছে বিভিন্ন প্রজাতির ঝিনুক-শঙ্খ জাতীয় প্রাণী।

বঙ্গোপসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল সেন্টমার্টিন, যার পুরোটাই সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ২৩৪ প্রজাতির উপকারী অপকারী মাছের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলে ১৮৭ প্রজাতির ঝিনুক জাতীয় প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে আর কাঁকড়া জাতীয় প্রাণীর প্রজাতি সাতটি।

আছে ৬৬ জাতের প্রবাল প্রাণী ও ১৪ প্রকারের সামুদ্রিক সৈবাল। আরও দেখতে পাবেন সামুদ্রিক কচ্ছপ, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, অক্টোপাস সহ জানা অজানা হাজারো রকম উদ্ভিদ ও প্রাণী। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বনেও রয়েছে জীববৈচিত্র্যের সমাহার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী জীব, সরীসৃপ, উভচর প্রাণী সহ জানা অজানা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বঙ্গোপসাগর

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাছাড়া বৈচিত্র্যময় মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী এদেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবীকার একমাত্র ভরসা এই বঙ্গোপসাগর।

হাজারো জেলে বঙ্গোপসাগরে ভেসে ভেসে পরিবারের অর্থের জোগান দিচ্ছে। সামুদ্রিক সম্পদ রপ্তানি করে অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। তাছাড়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সমুদ্র বন্দরও বঙ্গোপসাগরের বুকেই অবস্থিত। বৈদেশিক বানিজ্যে আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এই বন্দরগুলোর বিকল্প নেই। তবে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ সংরক্ষণে সকালের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

আশাকরি বঙ্গোপসাগর সম্পর্কিত যাবতীয় সকল তথ্য ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন। ভারত মহাসাগরের প্রবাহে গড়ে ওঠা বঙ্গোপসাগর ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয় বরং এর সীমান্তবর্তী প্রতিটি দেশের প্রেক্ষাপটেই সর্ববৃহৎ এই উপসাগরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রতিটি দেশেরই সমান অবদান থাকা এখন সময়ের দাবি।

বঙ্গোপসাগর নিয়ে সাধারন জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

  • বঙ্গোপসাগরের শেষ কোথায়
  • বঙ্গোপসাগর কী
  • বঙ্গোপসাগর কোন দিকে অবস্থিত
  • বঙ্গোপসাগরের ছবি
  • বঙ্গোপসাগর কোন দেশে অবস্থিত
  • বঙ্গোপসাগর কোন জেলায় অবস্থিত
  • বঙ্গোপসাগর কোন মহাসাগরের অংশ

বঙ্গোপসাগর এর গভীরতা কত?

– সর্বাধিক গভীরতা ৪,৬৯৪ মি (১৫,৪০০ ফু) এবং গড় গভীরতা ২,৬০০ মি (৮,৫০০ ফু)

বঙ্গোপসাগর কি ধরনের সাগর
– উপসাগর

বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে কি আছে?
– শ্রীলংকা এবং ইন্ডীয়ান ওসান

বঙ্গোপসাগর আয়তন কত?
– ২১,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার

Leave a Comment

Scroll to Top