অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দেশের প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। প্রতিটি জেলার নিজস্ব ইতিহাস – ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায় দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখার মাধ্যমে ,সেই সাথে উপভোগ করা যাবে প্রকৃতির অপরূপ সোন্দর্য।
কোথাও পাহাড়ি অঞ্চল, আবার কোথাও সমুদ্রের কোলাহল আবার কোথাওবা গাছপালায় ঘেরা ঘন জঙ্গল।কোনো কোনো স্থান আবার জনপ্রিয় এর ঐতিহাসিক নিদর্শন এর জন্য। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার দর্শনীয় স্থানেরই আছে এমন আলাদা আলাদা বিশেষত্ব।চলুন পুরো বাংলাদেশ ঘুরে আসি কিছু সময়ের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. ঢাকা জেলা
বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঢাকা।বাংলাদেশের রাজধানী “ঢাকা শহর” এই জেলায় অবস্থিত। ঢাকা জেলার দুইটি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে – একটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।ঢাকা জেলার মোট আয়তন ১,৫৫০ বর্গকিমি বা ৬০০ বর্গমাইল।
ইতিহাসের পাতায় ঢাকা জেলা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হিসেবে বিবেচিত।এর প্রাচীন নাম জাহাঙ্গীরনগর।বহু যুগ আগ থেকেই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ঢাকা জেলা বেশ পরিচিতি লাভ করলেও ইতিহাসে এই জেলা প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল ঢাকা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই এখানে আসা যায়।নদী পথ,সড়ক পথ, রেল পথ, আকাশ পথ সব দিক থেকেই এই জেলার যোগাযোগের সুব্যবস্থা আছে।
ঢাকা জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. লালবাগকেল্লা
২. মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর
৩. বলধা গার্ডেন
৪. রমনা উদ্যান
৫. খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ
৬. তারা মসজিদ
৭. কোকিলপেয়ারি জমিদার বাড়ি
৮. আহসান মঞ্জিল
৯. ঢাকা শিশু পার্ক
১০. ঢাকা চিড়িয়াখানা ( ইত্যাদি)
২. ফরিদপুর জেলা
ফরিদপুর জেলা ঢাকা বিভাগের ইতিহাসখ্যাত গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। ফরিদপুর জেলার পূর্বনাম ছিল ফাতেহাবাদ।পরবর্তীতে এই অঞ্চলের শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয় ” ফরিদপুর “। ১৭৮৬ সালে ফরিদপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় যার বর্তমান আয়তন ২,০৭৩ বর্গকিমি বা ৮০০ বর্গমাইল।
ইতিহাস খ্যাত নীল বিদ্রোহের সময় ৫২টি নীল কুঠি এই জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ” মীরগঞ্জ নীল কুঠি” যা বর্তমানে এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে।এছাড়াও পাথরাইল মসজিদ, গেরদা মসজিদ এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ফরিদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানসমূহ:
১. শেখ রাসেল শিশু পার্ক
২. পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের বাসভবন
৩. পদ্মা নদীর বাঁধ
৪. অম্বিকা ময়দান
৫. হাসামদিয়া পার্ক,
৬. বাইশ রশি জমিদার বাড়ি
৭. ভাসমান টিটা ব্রিজ,
৮. নদেরচাঁদ বাওঁড় অ্যান্ড পিকনিক স্পট
৯. নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
১০. ধলার মোড়, পদ্মার পাড় ( ইত্যাদি)

৩. গাজীপুর জেলা
ঢাকা বিভাগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিহাসখ্যাত জেলা গাজীপুর। ঐতিহাসিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন , সংগ্রাম ও সভা – সমাবেশের সাক্ষী এই গাজীপুর জেলা।মোগল – ব্রিটিশ – পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলনে গাজীপুর জেলা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের শুভ সূচনা হয়েছিল গাজীপুর জেলা থেকেই।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র টাকা তৈরির কেন্দ্র ” টাকশাল ” গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বড় সাফারি পার্ক গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ” বিশ্ব ইজতেমা” গাজীপুরের টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু বিলাসবহুল রিসোর্ট ও বিনোদন পার্ক।
গাজীপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ :
১. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
২. ন্যাশনাল পার্ক
৩. নন্দন পার্ক
৪. নুহাশ পল্লী
৫. জল ও জঙ্গলের কাব্য
৬. জলেশ্বরী রিসোর্ট
৭. সাহেব বাড়ি রিসোর্ট
৮. একডালা দুর্গ
৯. বলিয়াদী জমিদার বাড়ী
১০. ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট ( ইত্যাদি)
৪. গোপালগঞ্জ জেলা
বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল গোপালগঞ্জ জেলা যা কিনা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। গোপালগঞ্জ জেলার পূর্ব নাম ছিল রাজগঞ্জ।ঔপনিবেশিক শাশনামলে বাংলাদেশের এই অঞ্চলটি পূর্ববঙ্গ নামে পরিচিত ছিল আর তখন গোপালগঞ্জ ছিল তৎকালীন ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা। পরবর্তীতে মহকুমা বিভাগের পর গোপালগঞ্জ আলাদা একটি জেলার মর্যাদা লাভ করে।
ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করার ফলে ইতিহাসখ্যাত রানী রাসমনিকে গোপালগঞ্জ এর এই অঞ্চলটুকু পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়, আর রানী রাসমনির নাতি ” গোপাল” এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয় গোপালগঞ্জ। বাংলাদেশের কয়েকজন বিখ্যাত ব্যাক্তির বাড়ি এই জেলায় অবস্থিত, এই সব বাড়িকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যেমন : কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ইত্যাদি।
গোপালগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান :
১. বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স
২. চন্দ্রা বর্মা ফোর্ট
৩. বহুতলী মসজিদ
৪. উজানীর জমিদার বাড়ি
৫. হরিনাহাট জমিদার বাড়ি
৬. ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী
৭. মধুমতি নদী
৮. উলপুর জমিদার বাড়ি
৯. হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর
১০. ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ
৫. কিশোরগঞ্জ জেলা
ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সর্বশেষ জেলা কিশোরগঞ্জ। এই জেলার ব্র্যান্ড নাম “উজান-ভাটির মিলিত ধারা, নদী-হাওর মাছে ভরা”। কিশোরগঞ্জ জেলা হাওর অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় এই ব্রান্ড নামের অধিকারী হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার আয়তন ২,৬৮৯ বর্গকিমি বা ১,০৩৮ বর্গমাইল। প্রাচীন ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও শাশনামলের সাথে এই জেলার তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।প্রাচীন কাল থেকেই কিশোরগঞ্জে একটি আলাদা জনপদের বসতি ছিল। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে।
প্রাচীন শিল্পকর্মের বেশ কিছু নিদর্শন এখনও এই অঞ্চলে বিদ্যমান যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। যেমন : তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি, দিল্লীর আখড়া, জঙ্গলবাড়ি দূর্গ ইত্যাদি। ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে কিশোরগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. নিকলীর বেড়িবাঁধ
২. সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
৩. আওরঙ্গজেব মসজিদ
৪. দিল্লীর আখড়া
৫. শহীদী মসজিদ
৬. পাগলা মসজিদ
৭. শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
৮. এগারসিন্দুর দূর্গ
৯. জঙ্গলবাড়ি দূর্গ
১০. তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি)
৬. মাদারীপুর জেলা
ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল মাদারীপুর জেলা যার আয়তন ১,১৪৪.৯৬ বর্গকিমি বা ৪৪২.০৭ বর্গমাইল।ইতিহাসের পাতায় মাদারীপু জেলার পূর্বাংশ ইদিলপুর এবং পশ্চিম অংশ কোটালীপাড়া নামে পরিচিত। সুফি সাধক কুতুব-ই-জাহান হযরত বদিউদ্দীন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রঃ) এর নাম অনুসারে মাদারীপুর জেলার নামকরণ করা হয়, তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই অঞ্চলের কৃতি সন্তানেরা বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদারীপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সড়ক ও নৌপথে মাদারীপুরে আসা যায়।আউলিয়াপুর নীলকুঠি, কুলপদ্মী জমিদার বাড়ি মাদারীপুর জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
মাদারীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান :
১. আলগী কাজি বাড়ি মসজিদ
২. চরমুগরিয়া
৩. ঝাউদি গিড়ি
৪. আউলিয়াপুর নীলকুঠি
৫. পর্বতের বাগান-
৬. মাদারীপুর শকুনি দীঘি
৭. মিঠাপুর জমিদার বাড়ি
৮. শাহ মাদার (রঃ) দরগাহ শরীফ
৯. সেনাপতি দিঘি
১০. সূফী আমীর শাহ (রঃ) এর মাজার শরীফ ( ইত্যাদি)
৭. মানিকগঞ্জ জেলা
ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল মানিকগঞ্জ জেলা যার আয়তন ১,৩৭৮.৯৯ বর্গকিমি বা ৫৩২.৪৩ বর্গমাইল। ১৮৪৫ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়।তার আগে এই অঞ্চলটি ফরিদপুর জেলার অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাদীনতা সংগ্রামে মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দারা সশস্ত্র যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় – “আরিচা ঘাট” যা ছিল মানিকগঞ্জ জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
ঢাকা থেকে বিলাসী পরিবহন, আনন্দ পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, পাটুরিয়া এক্সপ্রেস,মানিকগঞ্জ এক্সপ্রেস ইত্যাদি বাস সরাসরি মানিকগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
মানিকগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ:
১. ধানকোড়া জমিদার বাড়ি
২. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
৩. ধানকোড়া জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি)
৮. মুন্সীগঞ্জ জেলা
প্রাচীন বাংলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র মুন্সিগঞ্জ যার প্রাচীন নাম বিক্রমপুর। মুন্সিগঞ্জ জেলা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন ৯৫৪.৯৬ বর্গকিমি বা ৩৬৮.৭১ বর্গমাইল।খ্রিস্টীয় দশ শতকের শুরু থেকে তেরো শতকের প্রথম পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলা চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল। প্রাচীন শাশনামলে বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে এই জেলায় যাতায়াত করা যায়।মুন্সিগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি, ইদ্রাকপুর কেল্লা, বিক্রমপুর বিহার উল্লেখযোগ্য।
মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান :
১. পদ্মা সেতু
২. নাটেশ্বর দেউলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
৩. ধলেশ্বরী নদী
৪. পদ্মার চর
৫. জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্মস্থান
৬. অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান
৭. নয়াগাঁও বেরিবাধ
৮. রাজা বল্লাল সেন ও হরিশচন্দ্রের দীঘি
৯. ইদ্রাকপুর কেল্লা
১০. বিক্রমপুর বিহার ( ইত্যাদি)
৯. নারায়নগঞ্জ জেলা
ঢাকা বিভাগের সবথেকে ছোট জেলা নারায়নগঞ্জ যার আয়তন ৬৮৩.১৪ বর্গকিলোমিটার। ঢাকা জেলার সীমান্তবর্তী এই জেলা ঐতিহাসিক দিক থেকে খুব সমৃদ্ধ।বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসে প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ সোনারগাঁও এ জেলার অন্তর্গত। এছাড়াও আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক প্রাচীন নিদর্শন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : বন্দর শাহী মসজিদ, গোয়ালদি মসজিদ ইত্যাদি।
নারায়ণগঞ্জ নামকরণের আগে প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল সোনারগাঁ। সোনালী আঁঁশ “পাটের “জন্য নারায়নগঞ্জ জেলা “প্রাচ্যের ড্যান্ডি” নামে পরিচিত।
ঢাকা জেলার ঠিক পাশেই এই জেলা অবস্থিত বিধায় সড়ক পথে এই জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সহজ।
নারায়নগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. পানাম নগর, সোনারগাঁও
২. লর্ড ইংরেজ সাহেবের বাংলো
৩. কাঠ গোলাপ স্থান
৪. হাজিগঞ্জ দুর্গ
৫. ত্রিবেণী পুল
৬. বিবি মরিয়ম মসজিদ
৭. ঈসা খাঁ জমিদার বাড়ি
৮. রাসেল পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা
৯. বাংলার তাজমহল
১০. বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
১০. নরসিংদী জেলা
ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিহাসখ্যাত অঞ্চল নরসিংদী জেলা।নরসিংদী জেলার আয়তন ১,১১৪ বর্গকিমি বা ৪৩০ বর্গমাইল।নরসিংদী জেলার বেশিরভাগ অঞ্চল সুবর্ণবীথি নামক প্রাচীন রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।নরসিংদী জেলার নামকরণ করা হয় রাজা নরসিংহের নামানুসারে।
১৯৭৭ সালে নরসিংদীকে মহকুমা হিসেবে এবং ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন ” উয়ারী-বটেশ্বর” এই জেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের যে কোনো জেলা থেকে সড়ক ও নৌ পথে এই জেলার সাথে যোগাযোগ করা যায়।

নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান :
১. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর
২. সোনাইমুড়ি টেক
৩. বালাপুর জমিদার বাড়ি
৪. ওয়ান্ডার পার্ক
৫. আরশিনগর মিনি পার্ক
৬. ঘোড়াশাল দোতলা রেলওয়ে স্টেশন
৭. ড্রীম হলিডে পার্ক
৮. মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি
৯. উয়ারী-বটেশ্বর
১০. সাটিরপাড়া রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি )
১১. রাজবাড়ী জেলা
পদ্মা নদীর তীর ঘেসে অবস্থিত রাজবাড়ী জেলা ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলার আয়তন ১,১১৮.৮০ বর্গকিমি বা ৪৩১.৯৭ বর্গমাইল।বর্তমান রাজবাড়ী জেলা একেক সময় একেক জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজা ও জমিদারের হাতে পরিচালিত হয়েছে এই অঞ্চলটি।
রাজবাড়ী একটি রেলকেন্দ্রিক শহর তাই এটি রেলের শহর হিসেবে পরিচিত।পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত বলে এই জেলাকে “পদ্মা কন্যা” বলা হয়।রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট দেশের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফেরী ঘাট,এই ফেরিঘাট দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার লোকজন প্রতিদিন ঢাকায় যাতায়াত করে।
বিশই সাওরাইল জমিদার বাড়ি, আর্চ ব্রিজ, ইউ.কে. বিচ, গোদার বাজার, বহরপুর আবাসন এই জেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ঢাকা থেকে রাজবাড়ী পৌছুতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। আনন্দ পরিবহন, আজমিরী পরিবহন, স্কাই লাইন, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ইত্যাদি বাসে সরাসরি ঢাকা থেকে রাজবাড়ী যাওয়া যায়।
রাজবাড়ী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. আবু হেনা পার্ক
২. মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র
৩. চাঁদ সওদাগরের ঢিবি
৪. গোয়ালন্দ ঘাট
৫. মাজবাড়ী গ্রাম
৬. মাশালিয়া ব্রিজ
৭. রতনদিয়া সুইচ গেট
৮. মুকুন্দিয়া জমিদার বাড়ি
৯. কল্যাণদিঘি
১০. দৌলতদিয়া ঘাট ( ইত্যাদি )
১২. শরীয়তপুর জেলা
ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ জেলা শরীয়তপুর।এই জেলার আয়তন ১,৩৬৩.৭৬ বর্গকিমি বা ৫২৬.৫৫ বর্গমাইল।প্রাচীন বানিজ্যে এই জেলা কাশা ও পিতলের তৈজসপত্র তৈরীর জন্য বিখ্যাত ছিল।
কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি, হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি, বুড়ির হাট মসজিদ শরীয়তপুর জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঢাকা থেকে নদীপথ ও স্থলপথ উভয় পদ্ধতিতেই এই জেলার সাথে যোগাযোগ করা যায়। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ফলে এই অঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি ঘটেছে।
শরীয়তপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. বুড়ির হাট মুন্সী বাড়ী
২. মগর
৩. কুরাশি
৪. সখিপুর আনন্দবাজার বেরিবাধ
৫. আলুর বাজার ফেরিঘাট
৬. ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি
৭. মানসিংহের বাড়ী
৮. রাজনগর
৯. লাকার্তা শিকদার বাড়ি
১০. মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম ( ইত্যাদি )
১৩. টাঙ্গাইল জেলা
ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত সবথেকে বড় জেলা টাঙ্গাইল এবং জনসংখ্যার দিক থেকে এর অবস্থান দ্বিতীয়।টাঙ্গাইল জেলার আয়তন ৩,৪১৪.৩৫ বর্গকিমি বা ১,৩১৮.২৯ বর্গমাইল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন এর জন্য এই জেলা পরিচিত হয়েছে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন জেলা হিসেবে।
এখানে আছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি ও জনপ্রিয় মসজিদ। মহেড়া জমিদার বাড়ি, হেমনগর জমিদার বাড়ি, আতিয়া মসজিদ, ২০১ গম্বুজ মসজিদ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। টাঙ্গাইলের চমচম ও তাঁতের শাড়ির জন্য টাঙ্গাইল জেলা বিখ্যাত। বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ সেতু ” যমুনা বহুমুখী সেতু” এই জেলায় অবস্থিত।
ঢাকা থেকে প্রায় ৮৪ কি মি দূরে টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত। ঢাকা থেকে নদী ও রেল পথে সরাসরি টাঙ্গাইলে যাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. হেমনগর জমিদার বাড়ি
২. মহেড়া জমিদার বাড়ি
৩. আতিয়া মসজিদ
৪. হামিদপুর পলাশতলীর ব্রিজ ও বর্ষাকালিন বিল
৫. খামারপাড়া মসজিদ
৬. এলেঙ্গা রিসোর্ট
৭. নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী
৮. সাগরদীঘি
৯. মধুপুর জাতীয় উদ্যান
১০. রাবার বাগান, পীরগাছা, টাঙ্গাইল ( ইত্যাদি )
১৪. বরগুনা জেলা
বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত জেলা বরগুনা। বরগুনা জেলার আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গকিমি বা ৭০৭.০৭ বর্গমাইল।কৃষিনির্ভর এই জেলা প্রাচীন কাল থেকে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যে ভরপুর ছিল।তাই এই অঞ্চলের মানুষ বেশ সুখী ও সংস্কৃতিমনা।
প্রথমে ১৯৬৯ সালে বরগুনাকে পটুয়াখালী জেলার একটি মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।পরবর্তীতে ১৫ ফাল্গুন ১৩৮৯ বঙ্গাব্দে (১৯৮৪ সালে) এটি মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয়।
এই জেলার প্রাচীন নিদর্শন এর মধ্যে ” বিবি চিনি মসজিদ” সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য যা মোঘল আমলে নির্মাণ করা হয়েছি।
বাংলাদেশের সব অঞ্চলের সাথে নদী ও সড়ক পথে এই জেলার যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে।
বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান :
১. লালদিয়া সমুদ্রসৈকত
২. সোনাকাটা ইকোপার্ক
৩. বিহঙ্গ দ্বীপ বা ধানসিড় চর
৪. বিবি চিনি মসজিদ
৫. শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত
৬. ফাতরার বন
৭. সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত ( ইত্যাদি)
১৫. বরিশাল জেলা
কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বরিশাল বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল বরিশাল জেলা।এর আয়তন ২,৭৮৪.৫২ বর্গকিমি বা ১,০৭৫.১১ বর্গমাইল। মোগল আমলে স্থাপিত লবণচৌকি গিরদে বন্দর কে কেন্দ্র করে বরিশাল শহর গড়ে ওঠে এবং তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যক অঞ্চলে পরিনত হয়।
বরিশাল নদীবন্দর বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর।
এই জেলায় এখনও বিদ্যমান আছে বেশ কিছু প্রাচীন শাশনামলের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। অশ্বিনী কুমার টাউন হল, কলসকাঠী জমিদার বাড়ি, মাধবপাশা জমিদার বাড়ি, লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
যে কোনো জেলা থেকে বরিশাল জেলার যোগাযোগের সব থেকে সহয মাধ্যম নদীপথ। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের পর থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে।
বরিশাল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
১. বঙ্গবন্ধু উদ্যান ( বেলস পার্ক)
২. গুঠিয়া মসজিদ
৩. ৩০ গোডাউন বধ্যভূমি
৪. প্লানেট পার্ক ( শিশু পার্ক)
৫. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও দবদবিয়া ব্রিজ
৬. দুর্গাসাগর দিঘী
৭. শাপলা বিল,উজিরপুর
৮. সংগ্রাম কেল্লা
৯. নিসর্গ পার্ক ( ইত্যাদি)
১৬. ভোলা জেলা
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলা যা বরিশাল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।ভোলা জেলার পূর্ব নাম দক্ষিণ শাহবাজপুর। এর আয়তন ৩,৪০৩.৪৮ বর্গকিমি বা ১,৩১৪.০৯ বর্গমাইল।ভোলা দ্বীপটি ১২৩৫ সালে তৈরি হওয়া শুরু হয়েছিল এবং ১৫০০ সালে পর্তুগিজ এবং মগ জলদস্যুরা এই দ্বীপে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে।তখন থেকেই এখানে জনপদ সৃষ্টি হতে থাকে।
সম্প্রতি নির্মিত “জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার” ভোলা জেলাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় পরিনত করেছে। ঢাকা নদীবন্দর থেকে সরাসরি ভোলা রুটের লঞ্চ চলাচল করে।তাছাড়া বরিশাল জেলা হয়ে সড়ক পথে ভোলা যাওয়া যায়।
ভোলা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. মনপুরা
২. তুলাতলী পর্যটন কেন্দ্র
৩. চর কুকরী মুকরী
৪. শিশু পার্ক
৫. তারুয়া সমুদ্র সৈকত
৬. নিজাম হাসিনা ফাউন্ডেশন মসজিদ
৭. বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি যাদুঘর
৮. জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার, চরফ্যাশন
৯. সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক
১০. শাহবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র ( ইত্যাদি )
১৭. ঝালকাঠি জেলা
বানিজ্যিক সুবিধার জন্য ইতিহাসে দ্বিতীয় কলকাতা নামে খ্যাত ” ঝালকাঠি জেলা” বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। একসময় এটি বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই এই অঞ্চলকে ঝালকাঠি মহকুমায় পরিনত করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে ঝালকাঠি জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। নদী বন্দরের জন্য সবসময় এই জেলা ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে একেক সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ফরাসি ও ডাচরা এখানে বানিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করেছিল।
সুজাবাদ কেল্লা, ঘোষাল রাজবাড়ী এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন।
নদী ও সড়ক পথে এই জেলার সাথে পুরো বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. গাবখান সেতু
২. পেয়ারা বাগান
৩. কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি
৪. সুজাবাদ কেল্লা
৫. বিনয়কাঠি
৬. সুরিচোরা জামে মসজিদ
৭. পুরাতন পৌরসভা ভবন
৮. ঘোষাল রাজবাড়ী
৯. মাদাবর মসজিদ
১০. ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা ( ইত্যাদি )
১৮. পটুয়াখালী জেলা
বরিশাল বিভাগের সবথেকে জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী। ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী মহুকুমা থেকে এটি জেলায় পরিনত হয়।এর আয়তন ৩,২২১.৩১ বর্গকিমি বা ১,২৪৩.৭৫ বর্গমাইল।
পটুয়াখালী জেলার সবথেকে বড় আকর্ষন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের কাছে পটুয়াখালী “সাগরকন্যা” নামে পরিচিত।পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা।
নদী ও সড়ক পথে দেশের সব অঞ্চলের সাথে এর যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
২. কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান
৩. কুয়াকাটা ইকোপার্ক
৪. মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি
৫. কানাই বলাই দিঘী
৬. জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত
৭. পানি জাদুঘর
৮. পায়রা বন্দর
৯. কুয়াকাটা রাখাইন পল্লী
১০. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( ইত্যাদি)
১৯. পিরোজপুর জেলা
বরিশাল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি দ্বীপ জেলা পিরোজপুর। এর আয়তন ১,২৭৭.৮০ বর্গকিমি বা ৪৯৩.৩৬ বর্গমাইল।সুলতানি আমলের মুসলমান শাসক ফিরোজশাহের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল ফিরোজপুর যার অপভ্রংশ রূপ হিসেবে পিরোজপুর নামে পরিচিতি পেয়েছে। শায়েস্তাখানের আমলে অনেক ইউরোপীয় সওদাগর পিরোজপুর অঞ্চলে এসে ব্যবসা করতেন।
সাপলেজা কুঠি বাড়ি, সোনাখালী জমিদার বাড়ি, পারেড়হাট জমিদার বাড়ি এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশের সব জেলার সাথে সড়ক ও নদীপথে এর যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান
১. পারেড়হাট জমিদার বাড়ি
২. হুলারহাট নদী বন্দর
৩. সারেংকাঠী পিকনিক স্পট
৪. কুড়িয়ানা পেয়ারা বাজার
৫. আটঘর আমড়া বাগান
৬. মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ
৭. ভাসমান সবজি ক্ষেত মুগারঝোর
৮. হরিণপালা রিভার ভিউ ইকোপার্ক
৯. ডিসি পার্ক
১০. কবি আহসান হাবিব এর বাড়ি ( ইত্যাদি)
২০. বান্দরবান জেলা
পাহাড়, পর্বত ও পাহাড়ি ঝর্ণা দ্বারা বেষ্টিত মোহময় এক জেলা বান্দরবান। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকূলীয় জেলা যার আয়তন ৪৪৭৯.০২ বর্গ কিলোমিটার।১৯৮১ সালের ১৮ ই এপ্রিল বান্দরবান জেলার জন্ম হয়। এই অঞ্চলের স্থানীয়দের বলা হয় চাটগাঁইয়া এবং তাদের মুখের প্রচলিত ভাষা হলো চাটগাঁইয়া ভাষা। এই জেলায় বেশ কিছু পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জেলা বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা।
আমিয়াখুম জলপ্রপাত, ঋজুক জলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রের জন্য বান্দরবান জেলা বিখ্যাত।
বাংলাদেশের যে কোনো জেলা থেকে সরাসরি সড়ক পথে এই জেলার যোগাযোগ রয়েছে।
বান্দরবান জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. নীলাচল
২. তাজিংডং
৩. ডামতুয়া ঝর্ণা
৪. কিয়াচলং লেক
৫. জাদিপাই ঝর্ণা
৬. ঋজুক জলপ্রপাত
৭. শৈলপ্রপাত
৮. নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র
৯. জীবননগর
১০. নাফাখুম জলপ্রপাত ( ইত্যাদি)
২১. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
চট্টগ্রাম বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।এর আয়তন ১,৯২৭.১১ বর্গকিমি বা ৭৪৪.০৬ বর্গমাইল।প্রাচীন ইতিহাসে বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল প্রাচীন বাংলার সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।মুঘল আমলে মসলিন কাপড় তৈরির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিখ্যাত ছিল।পুতুলনাচ ও তিতাস নদীর নৌকা বাইচের জন্যও এই জেলা বিখ্যাত ছিল।
১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মর্যাদা লাভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ স্মৃতিসৌধ, আখাউড়া স্থল বন্দর এই জেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নদীপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. হরিপুর বড়বাড়ি
২. আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম ভিটা
৩. আলামনগর পার্ক
৪. রূপসদী জমিদার বাড়ি
৫. আখাউড়া স্থল বন্দর
৬. সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
৭. হরিপুরের জমিদার বাড়ি
৮. গোয়ালীর পীরমুড়ি বিল
৯. ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু পার্ক
১০. কাইতলা জমিদার বাড়ী ( ইত্যাদি)
২২. চাঁদপুর জেলা
পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ১,৭০৪.০৬ বর্গকিমি বা ৬৫৭.৯৪ বর্গমাইল।১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এটি চাঁদপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বার ভূঁইয়াদের সময়ে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের শাসনের আওতাভুক্ত ছিল।
ইলিশের সবথেকে বেশি প্রজনন এই জেলায় হয় বলে চাঁদপুরকে “ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর” বলা হয়।তাছাড়া একসময় চাঁদপুর “গেট ওয়ে অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া” বলে পরিচিত ছিল।
মিনি কক্সবাজার, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড, রূপসা জমিদার বাড়ি এই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রেল,সড়ক ও নৌপথে সরাসরি এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. ইলিশ চত্বর
২. বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি
৩. মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড
৪. টরকী বকুল তলা
৫. হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ
৬. বখতিয়ার খান মসজিদ
৭. লুধুয়া জমিদার বাড়ি
৮. রূপসা জমিদার বাড়ি
৯. ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র
১০. বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র ( ইত্যাদি )
২৩. চট্টগ্রাম জেলা
বানিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত চট্টগ্রাম জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ৫,২৮২.৯২ বর্গকিমি বা ২,০৩৯.৭৫ বর্গমাইল। চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয় ১৬৬৬ সালে।সুপ্রাচীন কাল থেকেই বানিজ্যিক ভাবে চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিখ্যাত।
প্রাকৃতিক প্রাচুর্য ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিত। খৈয়াছড়া ঝর্ণা, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, ফয়েজ লেক ইত্যাদি চট্টগ্রাম জেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশ পথে চট্টগ্রাম জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. পতেঙ্গা
২. জাম্বুরী পার্ক
৩. প্রজাপতি পার্ক বাংলাদেশ
৪. মহামায়া হ্রদ
৫. আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
৬. ওয়াশিল চৌধুরীপাড়া মসজিদ
৭. শেখ রাসেল পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক
৮. বাটালি পাহাড়
৯. পারকি সমুদ্র সৈকত
১০. চুনতি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য ( ইত্যাদি )
২৪. কুমিল্লা জেলা
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা কুমিল্লা যার আয়তন ৩,০৮৭.৩৩ বর্গকিমি বা ১,১৯২.০২ বর্গমাইল।কুমিল্লা জেলার আদিনাম কমলাঙ্ক।১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে একে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। প্রাচীনকালে কুমিল্লা জেলার এই অঞ্চল সমতট জনপদের অংশ ছিল।
এই জেলা খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত।১৯২১ সাল থেকে এ অঞ্চলে খদ্দর প্রচলিত।
কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন, অর্জুনতলা মসজিদ, উত্তর তেতাভূমি জমিদার বাড়ি সহ এই জেলায় আছে বেশ কিছু জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাথে সড়ক,নদী,আকাশ ও রেলপথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. উত্তর তেতাভূমি জমিদার বাড়ি
২. ইটাখোলা মুড়া
৩. কোবা জামে মসজিদ
৪. কোটবাড়ি
৫. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. কুমিল্লা বিমানবন্দর
৭. কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
৮. অর্জুনতলা মসজিদ
৯. উজিরপুর টিলা
১০. কর্নেলের মুড়া ( ইত্যাদি )
২৫. কক্সবাজার জেলা
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজার। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এই জেলার আয়তন ২,৪৯১.৮৬ বর্গকিমি বা ৯৬২.১১ বর্গমাইল।কক্সবাজার জেলার আদি নাম “পালংকী”।
১৮৫৪ সালে কক্সবাজার থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ কক্সবাজারকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এই জেলায় অবস্থিত। এই সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী সমুদ্র সৈকত, ইলিশিয়া জমিদার বাড়ি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এই জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান। আকাশ ও সড়ক পথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. সোনাদিয়া দ্বীপ
২. বরইতলি ঝর্ণা
৩. রাখাইন পাড়া
৪. মাথিন কূপ
৫. ফাসিয়াখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
৬. ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
৭. ইনানী সমুদ্র সৈকত
৮. টেকনাফ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
৯. নাফ নদী
১০. ছেঁড়া দ্বীপ ( ইত্যাদি )
২৬. ফেনী জেলা
বাংলাদেশের ৬৪ তম জেলা ফেনী যা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ফেনী নদীর নাম অনুযায়ী এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী।এই জেলার আয়তন ৯২৮.৩৪ বর্গকিমি বা ৩৫৮.৪৩ বর্গমাইল।১৯৮৪ সালে এই অঞ্চকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এর আগে এই এলাকাটি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার অংশ ছিল।
ফেনি জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে শমসের গাজীর কেল্লা, বিজয় সিংহ দীঘি, চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সড়ক ও রেলপথে এই জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
ফেনী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. কৈয়ারা দীঘি
২. বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি
৩. শর্শাদী শাহী মসজিদ
৪. শমসের গাজীর কেল্লা
৫. ফেনী নদী
৬. বিজয় সিংহ দীঘি
৭. মুহুরী প্রজেক্ট
৮. ফেনী বিমানবন্দর
৯. চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ
১০. সেনেরখিল জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি )
২৭. খাগড়াছড়ি জেলা
খাগড়াছড়ি জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের একটি পার্বত্য জেলা এবং বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা। এই জেলার আয়তন ২,৬৯৯.৫৬ বর্গকিমি বা ১,০৪২.৩১ বর্গমাইল।১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়িকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তার আগে এই অঞ্চল কক্সবাজার জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। খাগড়াছড়ি নামক নদীর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম কার্পাস মহল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই জেলায় আছে অসাধারণ বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র। এর মধ্যে তুয়ারি মাইরাং, মাতাই, হাক, রআলুটিলা গুহা উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সড়ক পথে এই জেলায় আসা যায়।
খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. দিঘীনালা বনবিহার
২. মায়ুং কপাল
৩. মাটিরাঙ্গা জলপাহাড়
৪. খুমপুই রেস্টহাউজ
৫. পানছড়ি রাবার ড্যাম
৬. তৈলাফাং ঝর্ণা
৭. রিছাং ঝর্ণা
৮. মং রাজবাড়ি
৯. পুরাতন চা বাগান
১০. মাতাই পুখিরি ( ইত্যাদি )
২৮. লক্ষ্মীপুর জেলা
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল লক্ষ্মীপুর জেলা।এর আয়তন ১,৪৫৬ বর্গকিমি বা ৫৬২ বর্গমাইল।১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে এই জেলায় একটি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল।
ইতিহাসের বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন এখনও এই জেলায় বিদ্যমান আছে। তারমধ্যে ইসহাক জমিদার বাড়ি, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, কামানখোলা জমিদার বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
সড়ক ও নদীপথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. কুশাখালী স্টার পার্ক
২. নবী নগর ড্রিম হাউজ
৩. কমলনগর বীচ
৪. শ্রীরামপুর রাজবাড়ী
৫. রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
৬. খোয়া সাগর দিঘি
৭. কাজির দিঘির পাড় ঈদগাহ ময়দান
৮. আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ
৯. লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়াম
১০. জ্বীনের মসজিদ ( ইত্যাদি )
২৯. নোয়াখালী জেলা
চট্টগ্রাম বিভাগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা নোয়াখালী যার আয়তন ৪,২০২.৭০ বর্গকিমি বা ১,৬২২.৬৭ বর্গমাইল।এই জেলার পূর্বনাম ছিল ভুলুয়া।১৮৬৮ সালে ভুলুয়া থেকে এই জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।
এই জেলায় আছে বাংলার ইতিহাস খ্যাত বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন। কল্যান্দি জমিদার বাড়ি , বজরা শাহী মসজিদ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ” নিঝুম দ্বীপ” এই জেলায় অবস্থিত।
সড়কপথে এই জেলার সাথে সব অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. মুছাপুর ক্লোজার
২. ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল
৩. বজরা শাহী মসজিদ
৪. নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
৫. কল্যান্দি জমিদার বাড়ি
৬. নলুয়া মিঞা বাড়ি জামে মসজিদ
৭. দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক
৮. নোয়াখালী ড্রীম ওয়ার্ল্ড পার্ক
৯. কমলার দিঘী
১০. গোয়ালখালী বিচ ( ইত্যাদি )
৩০. রাঙ্গামাটি জেলা
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা।রাঙ্গামাটি জেলার আয়তন ৬,১১৬.১৩ বর্গকিমি বা ২,৩৬১.৪৫ বর্গমাইল।
বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় হ্রদ ” কাপ্তাই হ্রদ” এবং এর উপরে নির্মিত ” ঝুলন্ত সেতু” রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি মূলত পর্যটন কেন্দ্রের জন্যই পুরো বাংলাদেশে বিখ্যাত।
বাংলাদেশের যে কোনো অঞ্চল থেকে সড়ক পথে রাঙামাটি আসা যায়।
রাঙ্গামাটি জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. আসামবস্তি সেতু
২. ফুরমোন পাহাড়
৩. উপজাতীয় জাদুঘর
৪. ওয়াজ্ঞা চা এস্টেট
৫. কর্ণফুলি কাগজ কল
৬. কংলাক পাহাড়
৭. কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
৮. দুমলং
৯. ধুপপানি ঝর্ণা
১০. পাবলাখালী বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য ( ইত্যাদি )
৩১. বাগেরহাট জেলা
ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা বাগেরহাট। এর আয়তন ৩,৯৫৯.১১ বর্গকিমি ১,৫২৮.৬২ বর্গমাইল। বাংলাদেশের বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন ও পর্যটন কেন্দ্র ” ষাট গম্বুজ মসজিদ” এই জেলায় অবস্থিত।
প্রাচীন কাল থেকেই লোকসংস্কৃতিতে এই অঞ্চল বিখ্যাত। মধুমতী নদীর নৌকা বাইচ , ভৈরব নদের নৌকা বাইচ ইত্যাদি এই অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির বিশেষ অংশ দখল করে আছে।
বাংলাদেশের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ” সুন্দর বন” এই জেলার অন্তর্ভুক্ত।ঐই জেলায় আছে অসংখ্য প্রাচীন নিদর্শন সমৃদ্ধ মসজিদ যা এখন উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে।
বাংলাদেশের যে কোনো অঞ্চল থেকে সরাসরি সড়ক পথে এই জেলার সাথে যোগাযোগ করা যায়।
বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. সুন্দরবন
২. মংলা বন্দর
৩. ষাট গম্বুজ মসজিদ
৪. সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
৫. বাগেরহাট জাদুঘর
৬. চন্দ্রমহল
৭. সিংগাইর মসজিদ
৮. মসজিদের শহর
৯. কটকা সমুদ্র সৈকত
১০. ডিসি পার্ক (ইত্যাদি )
৩২. চুয়াডাঙ্গা জেলা
বাংলাদেশের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং সুখী জেলা চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গা জেলা খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত যার আয়তন ১,১৭০.৮৭ বর্গকিমি বা ৪৫২.০৮ বর্গমাইল। ১৯৩৮ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল কেরু এন্ড কোম্পানি চুয়াডাঙ্গাতে স্থাপিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষর মুক্ত ও দারিদ্র্য মুক্ত জেলা।
১৯৮৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গাকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এই জেলায় আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক প্রাচীন নিদর্শন। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, ঘোলদাড়ী শাহী মসজিদ, নীলকুঠি উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের যে কোনো অঞ্চল থেকে সড়কপথে এই জেলায় যাতায়াত করা যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. শিশু স্বর্গ
২. পুলিশ পার্ক
৩. ডিসি ইকো পার্ক
৪. নাটুদহের আট কবর
৫. কেরু এন্ড কোম্পানি
৬. চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদ
৭. গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা
৮. গড়াইটুপি গ্রাম
৯. জামজামি মসজিদ
১০. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি )
৩৩. যশোর জেলা
ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত যশোর জেলা খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অঞ্চল। যশোর জেলার জনপ্রিয় ও প্রচলিত বানান যশোহর। যশোর জেলার আয়তন ২,৬০৬.৯৪ বর্গকিমি বা ১,০০৬.৫৫ বর্গমাইল।
যশোর অঞ্চলটি অতি প্রাচীন একটি জনপদ।স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যশোর জেলা সবার আগে শত্রুমুক্ত হয় যশোহর। ব্রিটিশ আমলে যশোর ছিল বাংলা অঞ্চলের প্রথম জেলা।
ফুলের হাট গদখালি এর জন্য সারা বাংলাদেশে যশোর জেলা বিখ্যাত। চাঁচড়া জমিদার বাড়ি, মীর্জা নগর নবাব বাড়ি, তালখড়ি জমিদার বাড়ি এই জেলার ঐতিহাসিক প্রাচীন নিদর্শন।
সড়ক ও আকাশপথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. যশোর পৌর পার্ক
২. তাপস কুটির
৩. যশোর বিমানবন্দর
৪. মনিহার সিনেমা হল
৫. বিনোদিয়া পার্ক
৬. যশোর আইটি পার্ক
৭. যশোর বোট ক্লাব
৮. কালেক্টরেট পার্ক
৯. তালখড়ি জমিদার বাড়ি
১০. সাগরদাড়ী, মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এর বাড়ি ( ইত্যাদি )
৩৪. ঝিনাইদহ জেলা
খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ঝিনাইদহ জেলা। এর আয়তন ১,৯৬৪.৭৭ বর্গকিমি বা ৭৫৮.৬০ বর্গমাইল। ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহ অঞ্চলকে মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় পরিনত হয়।এর পূর্বে ঝিনাইদহ জেলা যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল।স্বাধীনতা যুদ্ধে শেষ পর্যায়ে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এই অঞ্চলটি শত্রুমুক্ত হয়।
সাতগাছিয়া মসজিদ, নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, শৈলকুপা জমিদার বাড়ি এই জেলার প্রাচীন নিদর্শন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ঢাকা থেকে রয়েল, জেআর, সোনার তরী, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স ইত্যাদি বাস সার্ভিস এর মাধ্যমে সরাসরি ঝিনাইদহ আসা যায়।
ঝিনাইদহ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. জোড়া বাংলা মসজিদ
২. কে, পি, বসুর বাড়ী
৩. গলাকাটা মসজিদ
৪. খালিশপুর নীলকুঠি
৫. শৈলকূপা জমিদার বাড়ি
৬. শৈলকূপা শাহী মসজিদ
৭. ঢোল সমুদ্র দীঘি
৮. বারবাজারের প্রাচীন মসজিদ
৯. মিয়ার দালান
১০. নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ( ইত্যাদি )
৩৫. খুলনা জেলা
খুলনা বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল খুলনা জেলা।এই জেলা জাহানাবাদ নামেও পরিচিত।খুলনা জেলার মোট আয়তন ৪,৩৯৪.৪৫ বর্গকিমি বা ১,৬৯৬.৭১ বর্গমাইল।
১২ ডিসেম্বর ১৮৮৪ এই অঞ্চলকে একটি পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর একে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশের সবথেকে বড় ও জনপ্রিয় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এর একাংশ এই জেলার অন্তর্ভুক্ত। ধামালিয়া জমিদার বাড়ি, রূপসা সেতু, খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরে এই জেলার সাথে বেশ কয়েকটি অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
খুলনা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
২. রূপসা নদী
৩. রূপসা সেতু
৪. গল্লামারি বধ্যভূমি শহীদস্মৃতি সৌধ
৫. ধামালিয়া জমিদার বাড়ি
৬. সুন্দরবন
৭. মসজিদকুড় ঐতিহাসিক পীর মসজিদ
৮. জাতিসংঘ শিশুপার্ক
৯. শহীদ হাদিস পার্ক ভাষাস্মৃতি শহীদ মিনার
১০. বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি ( ইত্যাদি )
৩৬. কুষ্টিয়া জেলা
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া জেলা খুলনা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১,৬২১ বর্গকিমি বা ৬২৬ বর্গমাইল।কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে অভিহিত করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলার মানুষের মুখের ভাষাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষা বা বাংলা ভাষার প্রমিত রূপ বলা হয়।এই জেলাতে আছে বাংলাদেশের একমাত্র ইসলাম বিষয়ক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।কুাষ্টিয়া জেলা রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।
কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. গোল্ডেন ভিলেজ
২. ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ ৩. পদ্মা-গড়াই মোহনা
৪. লালন শাহ সেতু
৫. মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা
৬. টেগর লজ
৭. চাপাইগাছী-নান্দিয়ার বিল ৮. পরিমল থিয়েটার
৯. পাকশী রেল সেতু
১০. রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী ( ইত্যাদি)
৩৭. মাগুরা জেলা
ঢাকা থেকে ১৬৮.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাগুরা জেলা খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।এর আয়তন ১,০৪৮.৬১ বর্গকিমি বা ৪০৪.৮৭ বর্গমাইল।মাগুরা অঞ্চলটি বাংলার অতি প্রাচীন একটি জনপদ।মোঘল আমলেই এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় ” মাগুরা”। ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে মাগুরাকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
মাগুরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলো হলো : তালখড়ি জমিদার বাড়ি, ছান্দড়া জমিদার বাড়ি, কাদিরপাড়া জমিদার বাড়ি।
সড়কপথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
মাগুরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. গড়াই সেতু
২. বড়াল রাজার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ
৩. কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী
৪. তালখড়ি জমিদার বাড়ি
৫. ছান্দড়া জমিদার বাড়ি
৬. কাদিরপাড়া জমিদার বাড়ি
৭. পীর তোয়াজউদ্দিন -এর মাজার ও দরবার শরীফ
৮. বিড়াট রাজার বাড়ী
৯. শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
১০. কবি ফররুখ আহমদ এর বাসস্থান ( ইত্যাদি)
৩৮. মেহেরপুর জেলা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভূখন্ড মেহেরপুর জেলা। এটি খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। মেহেরপুর জেলার আয়তন ৭১৬.০৮ বর্গকিমি বা ২৭৬.৪৮ বর্গমাইল।
তৎকালীন মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায় অস্থায়ী সরকার গঠন ও শপথ গ্রহন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুরকে বাংলাদেশের জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ এই জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে অন্যতম।
বর্তমানে সড়ক পতে এই জেলার সাথে বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. করমদী গোসাঁইডুবি মসজিদ
২. আমঝুপি নীলকুঠি
৩. মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ
৪. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
৫. বাঘুয়াল পীরের দরগা
৬. ভাটপাড়া নীলকুঠি
৭. আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন
৮. পৌর ঈদগাহ
৯. মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ ( ইত্যাদি)
৩৯. নড়াইল জেলা
খুলনা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল নড়াইল জেলা।স্থানীয় লোকজন একে “নড়াল ” বলে উচ্চারণ করে।এই জেলার আয়তন ৯৯০.২৩ বর্গকিমি বা ৩৮২.৩৩ বর্গমাইল।১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ নড়াইল মহাকুমাকে জেলায় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
নড়াইল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযোদ্ধা অধ্যুষিত জেলা।১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই অঞ্চলের ব্যাপক অবদান রয়েছে। প্রায় ২০০০ জন মুক্তিযোদ্ধা এই জেলা থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে নড়াইল জমিদার বাড়ি, হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি , গোয়াল বাথান গ্রামের মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের সব অঞ্চল সড়ক পথে এই জেলার সাথে সংযুক্ত।
নড়াইল জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি পার্ক
২. অরুণিমা রিসোর্ট গল্ফ ক্লাব
৩. নিরিবিলি পিকনিক স্পট
৪. আঠারো বাকি নদীর তীরবর্তী দৃশ্য
৫. নিশিনাথতলা
৬. কদমতলা মসজিদ
৭. চিত্রা নদী
৮. স্বপ্নবিথী
৯. চিত্রা রিসোর্ট
১০. রাজা কেশব রায়ের বাড়ী ( ইত্যাদি)
৪০. সাতক্ষীরা জেলা
ঢাকা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত খুলনা বিভাগের একটি উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলার আদি নাম সাতঘরিয়া।এর আয়তন ৩,৮৫৮.৩৩ বর্গকিমি বা ১,৪৮৯.৭১ বর্গমাইল। প্রাচীনকালে সাতক্ষীরা অঞ্চলকে বাগড়ী, ব্যাঘ্রতট, সমতট, যশোর, বুড়ন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হতো।
১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা মহকুমাকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বানিজ্যিক দিক থেকে চিংড়ি চাষ, বনজশিল্প, কৃষিজ পণ্য, কুটির শিল্পে সাতক্ষীরা জেলা বেশ অগ্রসর।
ইশ্বরীপুর হাম্মামখানা , তেতুলিয়া জামে মসজিদ , প্রবাজপুর শাহী মসজিদ এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের সব অঞ্চলের সাথে সড়ক পথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. সুন্দরবন
২. চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ
৩. প্রবাজপুর মসজিদ
৪. হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি
৫. খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ সমাধি কমপ্লেক্স
৬. তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ
৭. মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট
৮. সাত্তার মোড়লের স্বপ্নবাড়ি
৯. মান্দারবাড়ীয়া সমুদ্র সৈকত ( ইত্যাদি )
৪১. জামালপুর জেলা
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত জামালপুর জেলা ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের ২০ তম জেলা। জামালপুর জেলার আয়তন ২,০৩১.৯৮ বর্গকিমি বা ৭৮৪.৫৫ বর্গমাইল।
কৃষি পণ্যের জন্য জামালপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র।এই জেলায় দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা অবস্থিত। বানিজ্যিক দিক থেকে জামালপুর জেলা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ সমৃদ্ধ।
১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুর অঞ্চলকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এই জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে মধুটিলা ইকোপার্ক, গারো পাহাড়, পাহাড়িকা বিনোদন কেন্দ্র উল্লেখযোগ্য। রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সড়ক ও রেলপথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী
২. গারো পাহাড়
৩. প্রজাপতি পার্ক
৪. যমুনা সিটি পার্ক
৫. স্বপ্ননীল পার্ক
৬. ৩৫ বিজিবি ক্যাম্প
৭. পোল্লাকান্দি ব্রিজ
৮. তরফদার খামারবাড়ি
৯. লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক
১০. ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর ( ইত্যাদি )
৪২. ময়মনসিংহ জেলা
ঢাকা থেকে ১২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ময়মনসিংহ জেলা ময়মনসিংহ বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এর আয়তন ৪,৩৬৩.৪৮ বর্গকিমি বা ১,৬৮৪.৭৫ বর্গমাইল।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় – ” বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” ও ” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়” এই জেলায় অবস্থিত।
ইংরেজ শাসনামলে ময়মনসিংহ জেলার কিছু কিছু অংশ সিলেট, ঢাকা, রংপুর ও পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে ময়মনসিংহ সদরে আসা যায়।তাছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রুটে সরকারি ট্রেন চলাচল করে।
ময়মনসিংহ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. আলাদীন’স পার্ক
২. কাদিগড় জাতীয় উদ্যান
৩. সিলভার ক্যাসল
৪. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
৫. ময়মনসিংহ জাদুঘর
৬. মুক্তাগাছার রাজবাড়ী
৭. গারো পাহাড়
৮. বোটানিক্যাল গার্ডেন
৯. বিপিন পার্ক
১০. পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী ( ইত্যাদি )
৪৩. নেত্রকোণা জেলা
ময়মনসিংহ বিভাগের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত একটি জেলা নেত্রকোনা। এই জেলার আয়তন ২,৮১০.২৮ বর্গকিমি বা ১,০৮৫.০৬ বর্গমাইল।নেত্রকোনা জেলার ১০ টি উপজেলা রয়েছে।এই জেলায় আছে পাহাড়ি জলপ্রপাত, চীনা মাটির পাহাড়, নদী, খাল, বিল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক নৈসর্গিক উপাদান।
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি নেত্রকোণাকে একটি জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাঘবেড় জমিদার বাড়ি , নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে এই জেলার সংযোগ রয়েছে।
নেত্রকোণা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. নিঝুম পার্ক
২. মগড়া নদী
৩. ডিঙ্গাপোতা হাওর
৪. কুমুদীনি স্তম্ভ
৫. চিনামাটির পাহাড়
৬. উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী
৭. কমলা রাণীর দিঘী
৮. সোমেশ্বরী নদী
৯. চরহাইজদা হাওর
১০. কংস নদী ( ইত্যাদি )
৪৪. শেরপুর জেলা
ঢাকা থেকে ১৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শেরপুর জেলা ময়মনসিংহ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল।১৮২৯ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেরপুরকে মহকুমা থেকে জেলায় পরিনত করা হয়। শেরপুর জেলার আয়তন ১,৩৬৩.৭৬ বর্গকিমি বা ৫২৬.৫৫ বর্গমাইল।
প্রাচীনকালে এই অঞ্চলটি কামরূপা রাজ্যের অংশ ছিল।মুঘল শাসনামলে এই এলাকার নাম ছিল “দশকাহনিয়া বাজু”।
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ , নয়আনী জমিদার বাড়ি , মধুটিলা ইকোপার্ক এই জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে অন্যতম।
অন্যান্য অঞ্চলের সাথে এই জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ।
শেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. কলা বাগান
২. গড়জরিপা বার দুয়ারী মসজিদ
৩. নয়াবাড়ির টিলা
৪. পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি
৫. ভোগাই নদী
৬. সুতানাল দীঘি
৭. ব্রহ্মপুত্র নদ
৮. পানিহাটা-তারানি পাহাড়
৯. নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল
১০. গজনী অবকাশ কেন্দ্র ( ইত্যাদি )
৪৫. বগুড়া জেলা
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল বগুড়া জেলা।এর আয়তন ২,৯২০ বর্গকিমি বা ১,১৩০ বর্গমাইল।বগুড়া জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ও উত্তরবঙ্গের রাজধানী নামে খ্যাত । বগুড়া জেলা শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত৷
প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন যার বর্তমান নাম মহাস্থানগড় — এটি বগুড়া জেলায় অবস্থিত। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম পুরাকীর্তি হিসেবে জনপ্রিয়। এছাড়াও এই জেলার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে খেরুয়া মসজিদ, মহাস্থানগড় যাদুঘর, নবাব বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
সড়কপথে বগুড়া জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
বগুড়া জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক
২. মহাস্থানগড়
৩. রাজা পরশুরামের বাড়ি
৪. মহাস্থানগড় যাদুঘর
৫. খেরুয়া মসজিদ
৬. শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়াম
৭. হোটেল নাজ গার্ডেন
৮. বাংলাদেশ মশলা গবেষণা কেন্দ্র
৯. বিজয়াঙ্গন যাদুঘর
১০. ভীমের জাঙ্গাল (ইত্যাদি )
৪৬. জয়পুরহাট জেলা
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস কেন্দ্র জয়পুরহাট জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন ৯৬৫.৪৪ বর্গকিমি বা ৩৭২.৭৬ বর্গমাইল।
জয়পুরহাটকে উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার বলা হয়।জয়পুরহাট জেলার চিনিকল বাংলাদেশের একটি বৃহৎ চিনিকল। জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ কয়লা খনি দেশের বৃৃহত্তম কয়লা খনি।
এই জেলায় সাঁওতাল, ওরাওঁ , মুন্ডা , মাহালী সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসতি।
১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট কে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, লকমা জমিদার বাড়ি, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি এই জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
ঢাকার সাথে সড়ক ও রেলপথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।
জয়পুরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. ভীমের পান্টি
২. আছরাঙ্গা দীঘী
৩. শিশু উদ্যান (প্রিন্স পার্ক)
৪. জয়পুরহাট চিনিকল লি.
৫. লকমা জমিদার বাড়ি
৬. আক্কেলপুর বদ্ধভুমি
৭. পাথরঘাটা
৮. জামালগঞ্জ কয়লাখনি
৯. বাস্তবপুরী
১০. নান্দাইল দীঘি (ইত্যাদি)
৪৭. নওগাঁ জেলা
বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির অংশ নওগাঁ জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ নওগাঁ মহকুমাকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই জেলার আয়তন ৩,৪৩৫.৬৭ বর্গকিমি বা ১,৩২৬.৫২ বর্গমাইল।
নওগাঁ জেলায় অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। সাঁওতাল, মাল পাহাড়িয়া, কুর্মি, মহালী ও মুন্ডা এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে নওগাঁতেই সবথেকে বেশি ধান প্রক্রিয়াজাতকরণ কল রয়েছে।নওগাঁ জেলার “সাপাহার হাট” দেশের সবথেকে বড় আমের হাট। এই জেলার মূল ভূখন্ডের ৮০ শতাংশই আবাদী জমি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন “পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার” এই জেলাতেই অবস্থিত।
বাংলাদেশের সব অঞ্চলের সাথে এর সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. আলতাদীঘি
২. কুসুম্বা মসজিদ
৩. পতিসর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি
৪. বরেন্দ্র গার্ডেন শিশু পার্ক
৫. দিবরের দীঘি
৬. ভিমের পান্টি
৭. তালের গাছ সাম্রাজ্য
৮. ভবানীপুর জমিদার বাড়ি
৯. বলিহার রাজবাড়ী
১০. দিব্যক জয়স্তম্ভ (ইত্যাদি)
৪৮. নাটোর জেলা
রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল নাটোর।আয়তনের দিক থেকে নাটোর বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা।এর মোট আয়তন ১,৯০৫.০৫ বর্গকিমি বা ৭৩৫.৫৪ বর্গমাইল। ১৯৮৪ সালে নাটোরকে একটি জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
নাটোর জেলার জনপ্রিয়তার পেছনে আছে বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব, খাবার ও স্থানের অবদান। বনলতা সেন,রাণী ভবানী,নাটোর রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন,কাঁচাগোল্লা,চলনবিল,হালতি বিল এর জন্য নাটোর জেলা বিখ্যাত।
বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলের সাথেই নাটোর জেলার রেল যোগাযোগ বেশ উন্নত। তাছাড়া সড়ক পথে পুরো বাংলাদেশের সাথে নাটোর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
নাটোর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. চাপিলা শাহী মসজিদ
২. চলনবিল জাদুঘর
৩. ধরাইল জমিদার বাড়ি
৪. চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি
৫. ভেল্লাবাড়ি মসজিদ
৬. গ্রীন ভ্যালি পার্ক
৭. ঈশ্বরদী বিমানবন্দর
৮. শহীদ সাগর
৯. চলনবিল
১০. আত্রাই নদী (ইত্যাদি)
৪৯. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
ঢাকা থেকে ৩২০ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।এর আয়তন ১,৭০২.৫৬ বর্গকিমি বা ৬৫৭.৩৬ বর্গমাইল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পূর্বনাম নবাবগঞ্জ।
ভারত উপমহাদেশ বিভাজনের আগে এই অঞ্চলটি মালদহ জেলার একটি অংশ ছিল। এই জেলায় প্রচুর পরিমান আম উৎপাদন হয় বলে এটি ‘আমের শহর’ বা ‘আমের দেশ’ অথবা ‘City Of Mango’ নামে পরিচিত।
এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে ছোট সোনা মসজিদ , নাচোল রাজবাড়ী , নীলকুঠি উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য অঞ্চলের সাথে নদী ও রেলপথে এই জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. ছোট সোনা মসজিদ পার্ক
২. শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার
৩. দারাসবাড়ি মসজিদ
৪. নাচোল রাজবাড়ী
৫. মহানন্দা নদী
৬. টাংঘন পিকনিক পার্ক
৭. কানসাটের জমিদার বাড়ি
৮. স্বপ্ন পল্লী পার্ক
৯. রহনপুর নওদা বুরুজ
১০. তোহাখানা (ইত্যাদি)
৫০. পাবনা জেলা
রাজশাহী বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল পাবনা জেলা।এই জেলার আয়তন ২,৩৭১.৫০ বর্গকিমি বা ৯১৫.৬৪ বর্গমাইল।১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর একটি স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে।পাবনা জেলার জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী।
এই জেলা বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য পুরো দেশে বিখ্যাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ , পাবনা ক্যাডেট কলেজ , সরকারি মানসিক হাসপাতাল , রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি।
পাবনা জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ , চলন বিল , ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
পাবনা জেলার সাথে যে কোনো রুটেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।সড়কপথ,রেলপথ,নদীপথ,আকাশপথ – সব পদ্ধতিতেই এই জেলার সাথে অন্যান্য জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।
পাবনা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি
২. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য “বীর বাঙ্গালী”
৩. তের জমিদার বাড়ি
৪. শাহী মসজিদ
৫. রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
৬. খয়রান ব্রীজ
৭. প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক
৮. কাঞ্চন পার্ক
৯.আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
১০. পাকশী রিসোর্ট (ইত্যাদি)
৫১. রাজশাহী জেলা
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমন্তবর্তী জেলা রাজশাহী।এটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জেলা।এই জেলার আয়তন ২৪০৭.০১ বর্গকিলোমিটার।বাংলাদেশের সবথেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জেলা রাজশাহী।এই জেলাকে শিক্ষা নগরী বলা হয়।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পান উৎপাদন হয় রাজশাহী জেলায়।
১৯৮৪ সালে রাজশাহীকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বরেন্দ্র জাদুঘর, পুঠিয়া রাজবাড়ি এই জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাজশাহী জেলার সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র রাজধানীর সাথে রাজশাহীর আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমান।
রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. গোয়ালকান্দি জমিদার বাড়ি
২. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩.পদ্মা গার্ডেন
৪. বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
৫. পুঠিয়া রাজবাড়ী
৬. তামলি রাজার বাড়ি
৭. কিসমত মারিয়া মসজিদ
৮. শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
৯. বাঘা মসজিদ ( ইত্যাদি)
৫২. সিরাজগঞ্জ জেলা
ঢাকা থেকে ১৪২ কিমি দূরত্বে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ২,৪৯৭.৯২ বর্গকিমি বা ৯৬৪.৪৫ বর্গমাইল।১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তাঁত শিল্পের জন্য এই অঞ্চল সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত।
সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ ও যমুনা সেতুর দুই পাড়ের অপার সৌন্দর্য এই জেলাকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় পরিণত করেছে। বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা , বাঘাবাড়ি নদী বন্দর এই জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম। সিরাজগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক পথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. ইকোপার্ক
২. চায়না বাঁধ
৩. সান্যাল জমিদার বাড়ি
৪. ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি
৫. চলন বিল
৬. আল আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ
৭. বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়
৮. শিশু রাসেল পার্ক
৯. আটঘড়িয়া জমিদার বাড়ি
১০. ইলিয়ট সেতু (ইত্যাদি)
৫৩. দিনাজপুর জেলা
রংপুর বিভাগের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা দিনাজপুর। দিনাজপুর অতীতে পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। ১৭৮৬ সালে দিনাজপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে একে মহকুমা থেকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
অবিভক্ত বাংলার সর্ববৃহৎ জেলা ছিল দিনাজপুর।আয়তনের দিক থেকে বর্তমানে দিনাজপুর উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম।এর আয়তন ৩,৪৪৪.৩০ বর্গকিমি বা ১,৩২৯.৮৫ বর্গমাইল।ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে এই জেলায় রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বার পাইকের গড় , ঘোড়াঘাট দুর্গ , অরুণ ধাপ , রামসাগর।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার সাথে এই জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ।
দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. দিনাজপুর রাজবাড়ি
২. হিলি স্থলবন্দর
৩. নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান
৪. দিনাজপুর ঈদগাহ ময়দান
৫. ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
৬. রামসাগর
৭. স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্ক
৮. রাবারড্যাম
৯. দিনাজপুর জাদুঘর
১০. কোরাই বিল (ইত্যাদি)
৫৪. গাইবান্ধা জেলা
ঢাকা থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গাইবান্ধা জেলা রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ২,১৭৯.২৭ বর্গকিমি বা ৮৪১.৪২ বর্গমাইল।গাইবান্ধা জেলা কুটির শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ১৯৬০-এর দশক থেকে এই অঞ্চলে সুয়েটার, মুজা, মাফলার ইত্যাদি তৈরী করা হয়।
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে বিরাট রাজার রাজধানী ছিল গাইবান্ধা জেলায়। বিরাট রাজার ছিল প্রায় ষাট হাজার গাভী । সেই গাভী বাধার স্থান হিসাবে এই অঞ্চলের নাম গাইবান্ধা বলে প্রচলিত হয়েছে।১৯৮৪ সালের ১৫ অগাস্ট গাইবান্ধাকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এই জেলার প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি , পেরিমাধব জমিদার বাড়ি , প্রাচীন মাস্তা মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
এই জেলার সড়ক ও রেল পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা কুব উন্নত।
গাইবান্ধা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. পাকড়িয়া বিল
২. ড্রীমল্যান্ড
৩. রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড
৪. নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি
৫. প্রাচীন মাস্তা মসজিদ
৬. বালাসী ঘাট
৭. জামালপুর শাহী মসজিদ
৮. গাইবান্ধা পৌর পার্ক
৯. ড্রীম সিটি পার্ক
১০. ফুলপুকুরিয়া পার্ক (ইত্যাদি)
৫৫. কুড়িগ্রাম জেলা
রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল কুড়িগ্রাম জেলা। এর আয়তন ২,২৪৫.০৪ বর্গকিমি বা ৮৬৬.৮১ বর্গমাইল। ব্রহ্মপুত্র নদের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনপদের উত্থান পতন ঘটেছে এই জেলায়।
“ক্ষীরমোহন ” নামক এক বিখ্যাত মিষ্টান্ন খাবারের জন্য বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম জেলা পরিচিত।
এই জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি , চান্দামারী মসজিদ , পাঙ্গা জমিদার বাড়ি , নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
রাজধানী ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম জেলার সরাসরি রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।
কুড়িগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ :
১. পাঙ্গা জমিদার বাড়ি
২. চিলমারী বন্দর
৩. ব্রহ্মপুত্র নদ
৪. উলিপুর মুন্সিবা
৫. ড়ীশহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক
৬. সোনাহাট স্থলবন্দর
৭. ফুল সাগর
৮. চাকিরপাশার বিল
৯. উদুনা-পুদুনার বিল
১০. উত্তরবঙ্গ জাদুঘর (ইত্যাদি)
৫৬. লালমনিরহাট জেলা
রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রশাসনিক জেলা লালমনিরহাট। এর আয়তন ১,২৪০.৯৩ বর্গকিমি বা ৪৭৯.১৩ বর্গমাইল।
লালপাথর এবং তিস্তা নদীর জন্য জন্য এই জেলা বিখ্যাত। হারানো মসজিদ , নিদারিয়া মসজিদ এই জেলার প্রাচীন স্থাপনা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি রেলপথে এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এই জেলা সড়ক যোগাযোগও বেশ উন্নত।
লালমনিরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. হারানো মসজিদ
২. তিস্তা ব্যারে
৩. জতিস্তা রেল সেতু
৪. কাকিনা জমিদার বাড়ি
৫. শালবন
৬. বুড়িমাড়ি স্থলবন্দর ও জিরো পয়েন্ট
৭. ভূমি গবেষণা যাদুঘর
৮. জমগ্রাম জামে মসজিদ
৯. তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি
১০. তিনবিঘা করিডোর (ইত্যাদি)
৫৭. নীলফামারী জেলা
রাজধানী থেকে প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত রংপুর বিভাগের অন্যতম সীমান্তঘেষা জেলা নীলফামারী। এর আয়তন ১,৬৪৩.৪ বর্গকিমি বা ৬৩৪.৫ বর্গমাইল। এই জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়।
দুই শতাধিক বছর আগে এ অঞ্চলে ইংরেজ নীলকরেরা নীল চাষের খামার স্থাপন করে।স্থানীয় কৃষকদের মুখে এই অঞ্চল তখন ‘নীল খামার’ নামে পরিচিত চিল। ‘নীল খামার পরিবর্তিত নীল খামারী’ তে। আর এই নীলখামারী শব্দের অপভ্রংশ রূপ হিসেবে উদ্ভাবন হয় নীলফামারী নাম।(ধারনামতে)।
ময়নামতির দূর্গ, ডিমলা রাজবাড়ী , নীলসাগর এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র।
বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চল থেকে সড়কপথে নীলফামারী আসা যায়। রাজধানী ঢাকার সাথে আকাশ পথে নীলফামারীর যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. জলঢাকা মুন্নু পার্ক
২. ডিমলা রাজবাড়ী
৩. উত্তরা ইপিজেড
৪. সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
৫. কুন্দুপুকুর মাজার
৬. বালাপাড়া গণকবর
৭. সৈয়দপুর বিমানবন্দর
৮. দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল
৯. ময়নামতির দূর্গ
১০. ডিমলা ফরেস্ট (ইত্যাদি)
৫৮. পঞ্চগড় জেলা
বাংলাদেশের সবথেকে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়।এটি রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পঞ্চগড় জেলার আয়তন ১,৪০৪.৬২ বর্গকিমি বা ৫৪২.৩৩ বর্গমাইল।
পঞ্চগড় জেলা থেকে বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া দেখতে পাওয়া যায়।তাই প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই জেলায় ভীড় জমায়।
পঞ্চগড় চিত্তাকর্ষক স্থান সমূহের মধ্যে মহারাজার দিঘী , ভিতরগড় দূর্গ, চা বাগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
সরক ও রেলপথে পঞ্চগড় জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. মির্জাপুর শাহী মসজিদ
২. তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো
৩. বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
৪. মহারাণী বাঁধ
৫. কাজল দিঘী
৬. মহারাজার দিঘী
৭. ভিতরগড় দূর্গ
৮. রকস্ মিউজিয়াম
৯. তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার
১০. আটোয়ারী ইমামবাড়া (ইত্যাদি)
৫৯. রংপুর জেলা
৩০৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রংপুর জেলা রংপুর বিভাগের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। রংপুর বাংলাদেশের দ্বিতীয় জেলা এবং এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৬৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর।এই জেলার আয়তন ২,৪০০.৫৬ বর্গকিমি বা ৯২৬.৮৬ বর্গমাইল।রংপুর জেলা ” বহের দেশ ” নামে পরিচিত।
৭০০ বছরের পুরোনো বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্জি, তামাক ও হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য রংপুর জেলা বিখ্যাত। ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে ফণীভূষণ মজুমদারের জমিদার বাড়ি , পীরগাছা জমিদার বাড়ী , তাজহাট রাজবাড়ি অন্যতম। আকাশ পথ, সড়ক পথ , এবং রেলপথে রংপুর জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
রংপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র
২. ঘাঘট প্রয়াস পার্ক
৩. ভিন্নজগত পার্ক
৪. ভাঙ্গনি মসজিদ
৫. কারমাইকেল কলেজ
৬. পায়রা চত্তর
৭. মিঠাপুকুর মসজিদ
৮. রংপুর চিড়িয়াখানা
৯. চিকলি বিল
১০. পার্কতাজহাট রাজবাড়ি (ইত্যাদি)
৬০. ঠাকুরগাঁও জেলা
ঢাকা থেকে ৪৫৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত “ঠাকুরগাঁও” রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এই জেলার আয়তন ১,৮০৯.৫২ বর্গকিমি বা ৬৯৮.৬৬ বর্গমাইল।
বিভিন্ন উপমহাদেশে থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব জীবনব্যবস্থা ও সংস্কৃতি এই জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে এনেছে ব্যপক বৈচিত্র্য।এই জেলার নেকমরদ, রাণীশংকৈল সহ বিভিন্ন স্হানে প্রাচীন সভ্যতার নির্দশন পাওয়া যায়।
জগদল রাজবাড়ি , বাংলা গড় , হরিপুর রাজবাড়ি এই জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম। সড়ক ও রেলপথে ঠাকুরগাঁও জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা করে।
ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. থুমনিয়া শালবন
২. রামরাই দীঘি
৩. প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন
৪. সনগাঁ মসজিদ
৫. রাজভিটা
৬. ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক
৭. জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ
৬১. হবিগঞ্জ জেলা
সিলেট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হবিগঞ্জ জেলা। এই জেলার আয়তন ২,৬৩৬.৫৮ বর্গকিমি ১,০১৭.৯৯ বর্গমাইল। ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তার আগে ১৮৭৪ সাল থেকে হবিগঞ্জ মহকুমা সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
হবিগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে কমলারানীর সাগর দীঘি , সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান , বানিয়াচং রাজবাড়ি উল্লেখযোগ্য। হবিগঞ্জ জেলার সাথে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত।
হবিগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. মশাজানের দিঘী
২. সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
৩. দ্বীল্লির আখড়া
৪. রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
৫. ফয়েজাবাদ হিল বধ্যভূমি
৬. তেলিয়াপাড়া চা বাগান
৭. আদাঐর জমিদার বাড়ি
৮. দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট
৯. শংকরপাশা শাহী মসজিদ
১০. তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ (ইত্যাদি)
৬২. মৌলভীবাজার জেলা
সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও পর্যটন অঞ্চল মৌলভীবাজার জেলা।এই জেলার আয়তন ২,৭৯৯.৩৮ বর্গকিমি ১,০৮০.৮৫ বর্গমাইল।মৌলভীবাজার পৌরসভা বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর পৌরসভা বলে বিবেচিত।
মৌলভীবাজার জেলা চা, রাবার ও পর্যটন শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
এই জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো চা কন্যা ভাষ্কর্য , হাকালুকি হাওর , মাধবকুন্ড জলপ্রপাত।
এই জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়ক পথ।
মৌলভীবাজার জেলা দর্শনীয় স্থান সমূহ
১. চা বাগান
২. হাইল হাওড়
৩. পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ি
৪. হাকালুকি হাওড়
৫. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ
৬. কমলারানীর দিঘি
৭. মনু ব্যারেজ
৮. বাইক্কা বিল
৯. খোজার মসজিদ
১০. পরিকুন্ড জলপ্রপাত (ইত্যাদি)
৬৩. সুনামগঞ্জ জেলা
ঢাকা থেকে ২৯৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সুনামগঞ্জ জেলা সিলেট বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ৩,৭৪৭.১৮ বর্গকিমি বা ১,৪৪৬.৭৯ বর্গমাইল।
সুনামগঞ্জ জেলার পুরো অঞ্চল প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয় মোঘল সিপাহি সুনামুদ্দির নাম অনুসারে।
সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহের মধ্যে বারেক টিলা, সুখাইড় জমিদার বাড়ী, পাগলা মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
সড়ক পথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. টাঙ্গুয়ার হাওড়
২. সৈয়দপুর গ্রাম
৩. সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর
৪. পাইলগাও জমিদার বাড়ি
৫. গৌরারং জমিদার বাড়ি
৬৪. সিলেট জেলা
আধ্যাত্মিক রাজধানী নামে খ্যাত সিলেট জেলা সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল। এর আয়তন ৩,৪৫২ বর্গকিমি বা ১,৩৩৩ বর্গমাইল। সিলেট শহর বিশ্বের দ্বিতীয় লন্ডন নামে খ্যাত।
সিলেট জেলা এর পর্যটন কেন্দ্রের জন্য দেশ ও বিদেশে বেশ সুপরিচিত। উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে বিছনাকান্দি , জাফলং , রাতারগুল জলাবন, জৈন্তিয়া পাহাড়ের উল্লেখযোগ্য। সড়ক, রেল ও আকাশপথে এই জেলার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত।
সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ :
১. রাতারগু
২. লড্রিমল্যান্ড পার্ক
৩. রাতারগুল
৪. পাংতুমাই
৫. তামাবিল
৬. ভোলাগঞ্জ
৭. ওসমানী শিশু পার্ক
৮. পর্যটন মোটেল
৯. মনিপুরী মিউজিয়াম
১০. জাফলং (ইত্যাদি)
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশের প্রতিটি জেলারই আছে আলাদা আলাদা বিশেষত্ব এবং নিজস্ব ঐতিহ্য।প্রতিটি অঞ্চলের মনোরম পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যতা যে কারো মন কাড়বেই।

